এই সময় দাঁড়িয়ে বলিউডে ‘পিতামহ ভীষ্ম’র জায়গা নিয়েছেন ‘শেহনশাহ’ অমিতাভ বচ্চন। এখন ছেলেমেয়ে, নাতি-নাতনিদের নিয়ে ভরা সংসার তাঁর। ছবিতে অভিনয় করেন গুরুজনের চরিত্রে। কিন্তু একটা সময় তাঁরও ছিল। একটা সময় তিনিও ‘অ্যাংরি ইয়ং ম্যান’ ছিলেন ইন্ডাস্ট্রির। অভিনেত্রী জয়া বচ্চনকে বিয়ে করেছিলেন ঠিকই, তবে সুন্দরী নায়িকাদের নিজের বাহুডোরে নিয়ে ঘুরতেন অমিতাভ। ‘ক্যাসানোভা’ তকমাও পেয়েছিলেন বলিউডের অন্দরমহলে। কিন্তু সেসব ‘কেচ্ছাময়’ অধ্যায় বচ্চন পরিবার চিরটাকাল লুকিয়েই এসেছে এবং রাখেও। প্রকাশ্যে আসতে দেয় না। যেমন এই ঘটনাটি।
ছোটে নবাব সইফ আলি খানের সঙ্গে তাঁর প্রথম স্ত্রী অভিনেত্রী অমৃতা সিংয়ের দেখাই হয়নি তখন (ঘটনাচক্রে অমৃতা সইফের চেয়ে ১৩ বছরের বড় এবং তাঁর অনেক আগে থেকে মুম্বই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছেন)। সে সময় একটি ছবিতে অমিতাভের সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন অমৃতা। নায়ক-নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে একে-অপরের খুব ভাল বন্ধু হয়ে উঠেছিলেন অমিতাভ-অমৃতা। বিষয়টি তখন বিনোদন পত্রিকাগুলিতেও ছাপা হয়েছিল।
মেলামেশা ভালই চলছিল দুই তারকার মধ্যে। ছবি শেষ হওয়ার পর মধ্য়রাতে একটি পার্টিতে গিয়েছিলেন অমিতাভ-অমৃতা। সেই পার্টিতে হাজির ছিলেন আরও এক অভিনেতা। সেই অভিনেতার সঙ্গে পার্টিতে নাচতে-নাচতে বেশ ঘনিষ্ঠ হয়ে গিয়েছিলেন অমৃতা। তা দেখে একেবারেই সহ্য করতে পারেননি অমিতাভ। ঈর্ষায় জ্বলছিল তাঁর শরীর। অমৃতাকে নিজের কাছে নিয়ে আসতে চেয়েছিলেন অমিতাভ। শেষমেশ তাঁকে নিজের বাহুডোরে নিয়ে এসে ঠোঁটে জোর করে চুমু খেয়েছিলেন অমিতাভ।
এই ঘটনার কথা পরদিন জানাজানি হয়ে যায়। ফিসফাস শুরু হয় সর্বত্র। মেকআপ রুমে উপস্থিত রূপসজ্জা শিল্পী, কেশসজ্জা শিল্পারা তো বটেই, তারকাদের গাড়ির ড্রাইভারও বলাবলি শুরু করে দেন। কিন্তু রসালো গসিপ ধামাচাপা দিয়েছিল এই বচ্চন পরিবারই। তবে অমৃতার কাছে নাকি অমিতাভ ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছিলেন পরে।