
নেশা করতে দারুণ ভালবাসতেন ঋষি কাপুর। দেশ-বিদেশ থেকে তাঁর কাছে পৌঁছে যেত নানা দামি সুরা। জানা যায়, কাপুর বাড়িতে নাকি একটা আলাদা ঘরই ছিল ঋষির নেশার করার জন্য। যেখানে নাকি কাউকে তেমন ঢুকতে দিতেন না ঋষি। তবে ঋষির এই নেশার কারণে অনেক অশান্তিও এসেছে ঋষি-নীতুর দাম্পত্যে। শোনা যায়, মদ্যপ অবস্থায় নাকি নীতুর উপর শারীরিক অত্য়াচারও করতেন ঋষি। তবে একবার মদ্যপ ঋষি যা করেছিলেন, তা ভাবা যায় না।
কাণ্ডটা নিজেই অটোবায়োগ্রাফিতে লিখেছিলেন ঋষি কাপুর।
সময়টা সাতের দশক। তখন নীতু কাপুরের সঙ্গে বিয়ে হয়নি ঋষির। উল্টে জাসমিন নামের এক মহিলার সঙ্গে সদ্য ব্রেকআপ হয়েছে ঋষি কাপুরের। ঠিক সেই সময়ই নীতুর সঙ্গে ঋষি বিদেশে পাড়ি দেন জহরিলা ইনসান ছবির শুটিংয়ে। ঋষি কাপুর তাঁর অটোবায়োগ্রাফিতে লিখে ছিলেন, মদের নেশায় তখন টালমাটাল অবস্থা। সদ্য মন ভাঙা। কান্না পাচ্ছিল মাঝে মধ্যেই। নীতুকে ডাকলাম। বললাম, আমার প্রাক্তনকে জলদি একটা ফোন কর। একবার কথা বলতে চাই, একবার ওঁক কণ্ঠ শুনতে চাই। নীতু সেদিন কোনও প্রশ্ন করেনি। জাসমিনকে ফোন করেছিল। জাসমিন কথাও বলে।
ঋষি কাপুর লিখেছিলেন, নীতুর সঙ্গে বিয়ের পর জাসমিনের সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল। নীতুও সম্মান করত তাঁকে। এরপর জাসমিন আমারই এক প্রিয় বন্ধুকে বিয়ে করে। ওঁর মৃত্যুতে আমি ভেঙে পড়েছিলাম।