Dev: ‘তুমিও মরবে, আমিও মরব’, কুকর্ম হাতেনাতে ধরে ফেলেই চোখ রাঙানি দেবের

Jun 17, 2024 | 2:38 PM

Untold Story: সে সাংসদ পদ নিয়ে কেউ প্রশ্ন ছুঁড়ে দিক, কিংবা কেউ আবার তাঁকে সিনেমাজগত নিয়ে প্রশ্ন করে থাকুক, তাঁর যেন মনে যা, মুখেও তাই। সম্প্রতি তৃতীয়বারের জন্য সাংসদ পদে জয়ী হয়েছেন তিনি। আর এই জয় নিয়েই তিনি স্পষ্ট প্রশ্ন ছুঁড়েছিলেন, দূর্নীতি প্রমাণ করে দেখান। 

Dev: তুমিও মরবে, আমিও মরব, কুকর্ম হাতেনাতে ধরে ফেলেই চোখ রাঙানি দেবের

Follow Us

দেব, কেরিয়ার শুরু করেছিলেন বাণিজ্যিক ছবির অভিনেতা হয়ে। একটা সময় যাঁর অভিনয় নিয়ে রীতিমত কটাক্ষ করত দর্শকমহল। অথচ একের পর এক ছবি ব্লকবাস্টার। TV9 বাংলায় এসে দাবি করেন, বাংলার সেরার সেরা ব্লকবাস্টার তিনিই উপহার দিয়েছেন। যদিও বাংলা চলচ্চিত্র জগত নিয়ে আক্ষেপ কোথাও না কোথাও আজও দেবের মনের কোণে জমে থাকে। এই মর্মেই তাঁকে প্রশ্নও করা হয়, অসম লড়াইয়ে কোনওদিন মোটিভেশন হারিয়ে ফেলেন না? দেব বরাবরই ভীষণ স্পষ্ট বক্তা। যে কোনও প্রশ্নের সহজ উত্তর তাঁর কাছে মজুত। সে সাংসদ পদ নিয়ে কেউ প্রশ্ন ছুঁড়ে দিক, কিংবা কেউ আবার তাঁকে সিনেমাজগত নিয়ে প্রশ্ন করে থাকুক, তাঁর যেন মনে যা, মুখেও তাই। সম্প্রতি তৃতীয়বারের জন্য সাংসদ পদে জয়ী হয়েছেন তিনি। আর এই জয় নিয়েই তিনি স্পষ্ট প্রশ্ন ছুঁড়েছিলেন, দূর্নীতি প্রমাণ করে দেখান।

তাই মোটিভেশন প্রসঙ্গেও একই কথা বলেছিলেন তিনি। প্রশ্ন শুনেই উত্তরে সুর নরম করেন দেব। ধীর গতিতে বলেছিলেন, ‘এখন অভ্যাস হয়ে গিয়েছে। আগে একটু সমস্যা হত। যখন দেখতাম পর্দার পিছনে আমাদের লোক চেষ্টা করছেন ছবিটা নামানোর জন্য। যার সঙ্গে হয়তো সন্ধ্যেবেলা দেখা হয়েছে, চা পান করেছি, সেই হয়তো আড়ালে গিয়ে ছবিটা নিয়ে জলঘোলা করছে। তখন খারাপ লাগে, তখন ভাবি, আজ তাঁরাই কিন্তু বিপদে আছেন।’

এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেছিলেন, ”তখন তাঁকে বলেছিলাম, ‘তুমি ভাবছ তুমি আমাকে মারছে, আমার ছবিকে মারবে, আমরা সবাই ফাঁসব কিন্তু। তুমিও মরবে, আমিও মরব, আমরা সবাই একটা ইন্ডাস্ট্রি মরব। তখন চিৎকার করলেও কেউ আসবে না কিন্তু।’ তখন তাঁদের পাওয়া ছিল, তখন তাঁদের স্টোরি কন্টেন্ট ছিল, আমি কারও নাম নিয়ে বলছি না, আমি আমার লড়াইয়ের কথা বলছি। আমার চ্যাম্প, ককপিট হিট ছবি নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমি সাংসদ কিন্তু কোনওদিন আমি আমার ক্ষমতার অপব্যবহার করিনি। ভালবেসে যদি কাজ না হয়, জোর করে কী করব? জোর করে ভিক্ষা পাওয়া যায়, সম্মান তো পাওয়া যায় না। এবার সেই লড়াইটা ইন্ডাস্ট্রি বুঝতে পারছে। যে লড়াইটা পাঁচবছর আগে শুরু করেছিলাম। এই মানুষগুলোই আমার বিরুদ্ধে. ছিল, আজ তাঁদের ছবি শো পায় না। তাঁদেরকে হিন্দি ছবি রিলিজ় করতে হয়। তাঁরা তাঁদের বাংলা ছবি পিছিয়ে দিচ্ছে, আমি একমাত্র যাঁদের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি রিলিজ় করছি। ক্রিসমাসে আমি একমাত্র বাঙালি প্রযোজক ছিলাম, যিনি সাহস করে টনিক রিলজ় করেছিলাম। আমি অন্যদেরও বলেছিলাম করো, কেন কেউ করছ না, কীসের ভয় পাচ্ছ? আমি শ্রীকান্ত মেহেতাকে বলেছিলাম, তুমি কাকাবাবু পিছিয় না… ওরা শোনেনি।”

Next Article