বলিউডে পা রেখে কাস্টিং কাউচের শিকার হতে হয়নি এমন নাম তালিকায় খুব কমই আছে। যদি কোনও গডফাদারের হাত মাথায় থাকে, তবে সেক্ষেত্রে বিষয়টা বেশ খানিকটা ভিন্ন হয়ে যায়। কারও গায়ের রং, কারও আবার শরীরের গরন নিয়ে সেলেবদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে একাধিকবার। যদিও অতীতে এই প্রসঙ্গে খুব একটা সরব হতে দেখা যেত না সেলেবদের। তবে বর্তমানে পাল্টে গিয়েছে পরিস্থিতি। বোল্ড সেস্টমেন্ট দিতে খুব একটা সঙ্কোচ বোধ করেন না কেউই। ফলে একবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন অভিনেত্রী রাধিকা আপটে। বলিউডে পা রেখে প্রথম যে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল রাধিকাকে, তার বিষয় হল তাঁর নাক ও স্তনের আকার। অভিনেত্রীর নাকের আকৃতি পছন্দ হয়নি অনেকের। একইভাবে বড় স্তন না থাকলে অভিনেত্রীই নাকি হওয়া যায় না, এও শুনতে হয়েছিল অভিনেত্রী রাধিকা আপতেকে।
টাইপ কাস্ট নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী। জানালেন, একের পর এক চরিত্রের প্রস্তাব তিনি সম্প্রতি ফিরিয়েছেন। কারণ একটাই, অধিকাংশই চেহারা দেখে স্থির করে নেন, তিনি কোন চরিত্রে অভিনয় করলে মানাবে। একটা সময় যেমন রাধিকা আপতেকে মনে করা হত তাঁকে নাকি কেবল দারিদ্রের চরিত্রেই মানাবে। গ্রামের চরিত্রে মানাবে। আবার বাদলাপুর ছবি করার পর মনে করা হয়েছিল, তাঁকে কেবল সেক্স কমেডি চরিত্রেই মানাবে। একই ধাঁচের চরিত্রের প্রস্তাবও পেলেও তিনি তা ফেরাতে থাকেন।
আন্ধাদুন ছবি করার সময় সিনেপাড়ায় নতুন রাধিকা। তখনই তাঁকে ডেকে বলা হয়েছিল, তিনি যেন তাঁর নাকের আদলের বদল ঘটান, স্তনের আকার বাড়িয়ে তোলেন। তিনি রীতিমত অবাক হয়েছিলেন। কেউ কীভাবে তাঁর শরীর নিয়ে এমন মন্তব্য করতে পারে? তাঁকে শুনতে হয়, বড় স্তন না থাকলে সমস্যা। যদিও এসব ছাড়াও যে সিনেপাড়ায় দাপটের সঙ্গে কাজ করা যায়, তার প্রমাণ রয়েছে গুচ্ছের। তবে একটা সময় যে টাইপ কাস্টের শিকার হয়েছেন রাধিকা, তা এক বাক্যে স্বীকার করে নেন অভিনেত্রী।