বয়স তাঁর ৫৮। আজও বলিউডের এলিজেবল ব্যচেলর সলমন খান। যাঁর বিয়ের সানাই বাজার অপেক্ষায় আজও দিন গুনছেন ভক্তরা। জীবনে এসেছে বহু সম্পর্কের হাতছানি, তবে বিয়ের সানাই বাজেনি। এবার এক মহিলা ভক্ত প্রকাশ্যে সলমন খানকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসলেন। যা শোনা মাত্রই সলমন বললেন, হতেই পারত, যদি তিনি ২০ বছর আগে প্রস্তাব দিতেন, তবে তিনি নিশ্চয়ই গ্রহণ করতেন। তবে বছর ২৫ আগে সত্যি বাজতে চলেছিল সলমন খানের বিয়ের সানাই।
সলমন খানের বিয়ে বলে কথা। দীর্ঘদিন ধরে যে প্রশ্নের উত্তর খুঁজে চলেছেন দর্শকেরা। তিন খানের মধ্যে দুই খানের ভাগ্যে বিয়ে থাকলেও ভাইজানের কবে বাজবে বিয়ের সানাই? অনেকেই হয়তো জানেন না, যে সলমন খানেক বিয়ের সানাই ইতিমধ্যেই বেজে গিয়েছিল একবার। ভেনু থেকে মেনু সব ঠিক। পাত্রীর শপিং শুরু। সলমন খানের বাড়িতে কার্ড পৌঁছে গিয়েছে বাড়িতে বাড়িতে। কীভাবছেন, সত্যি নয়? না, এটাই সত্যি, সব ঠিক থাকলে সলমন খান এতদিনে বিয়েই পিঁড়িতে বসে যেতেন। সাল ১৯৯৯। পাত্রীর নাম সঙ্গীতা বিজলানি। সাজিদ নাদিওয়ালা, সলমন খানের ভীষণ কাছের বন্ধু। তিনিই জানিয়েছিলেন, সলমন তাঁকে নাকি বলেছিলেন, ‘আমি আমার জীবন সঙ্গী পেয়ে গিয়েছি, ১৮ নভেম্বর বাবার জন্মদিনে বসছি বিয়ের পিঁড়িতে’।
সলমন খানের কথায় সকলে ভীষণ খুশি হয়েছিলেন। সকলেই দ্রুত ব্যবস্থা করতে থাকে। আয়োজনে যাতে কোনও ফাঁক না থাকে। কিন্তু তাতে লাভের লাভ কিছুই হল না। কারণ ভাগ্যের লিখন ছিল অন্য কিছু। তবে খুব বেশি দিন তিনি নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারেননি। বিয়ের ঠিক ৫ দিন আগে সলমন খান জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি বিয়ে করছেন না। কারণ হিসেবে জানিয়েছিলেন, তাঁর নাকি মুড নেই, অর্থাৎ ইচ্ছে নেই। সেই কারণে তিনি বিয়ে করতে পারবেন না। সকলেই ভীষণ অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। সাজিদ আরও জানিয়েছিলেন, তাঁর বিয়েতেও সলমন খান কানে কানে এসে বলেছিলেন, ”বাইরে গাড়ি রয়েছে, চাইলে তুমিও পালিয়ে যেতে পারো।”