কাস্টিং কাউচের শিকার হয়েছেন বিটাউনের একাধিক স্টার। কখনও রণবীর সিং, কখনও আবার বিদ্যা বালান। প্রিয়াঙ্কা চোপড়াও এই মর্মে মুখ খুলতে ভোলেননি। যদিও প্রথম থেকেই বিদ্যা সত্যি কথা বলতে দু’বার ভাবেন না। কারণ একটাই বলিউডের অন্দরমহলের কাহিনি বা কেচ্ছা চাপা রাখার প্রসঙ্গে বর্তমান সেলেবরা বিশ্বাসী নন। যার ফলে ‘হ্যাসট্যাগ মি টু’ প্রসঙ্গ প্রকট হয়ে উঠেছিল ২০১৮ সাল থেকে। তারপর থেকেই সেলেবরা এই বিষয় সরব হন আরও বেশি করেই। বিদ্যা বালানও তালিকা থেকে বাদ পড়েননি। স্পষ্টই তিনি জানিয়েছিলেন, ঠিক কী পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাঁকে একাধিকবার। কখনও সামনে উঠে আসে তামিল পরিচালকের হাতে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়ার কথা, কখনও আবার সামনে আনেন তিনি, তাঁর পোশাক নিয়ে কটাক্ষের মন্তব্য ঘিরে অবসাদ।
একবার স্ক্রিপ্ট পড়ার জন্য দক্ষিণী (তামিল) এক পরিচালক তাঁকে কফিতে ডাকেন। বিশ্বাস করেই বিদ্যা বালান কফির আসরে পৌঁছে গিয়েছিলেন একটি ছবি পাওয়ার জন্যই। তবে খানিকক্ষণ পর পরিচালক জানান, তিনি কফির আসরে নন, ঘরে গিয়ে কথা বলতে চান। প্রস্তাব পাওয়ার পরই অস্বস্তিতে পড়তে হয় বিদ্যাকে। তিনি ঘরে ঘুকে যান পরিচালকের পিছনে পিছনে। তবে দরজাটা তিনি সম্পূর্ণরূপে খুলে দিয়েছিলেন। তা বোধহয় খুব একটা পছন্দ হয়নি পরিচালকের।
পাঁচ মিনিটও হয় না, তিনি হঠাৎই উঠে ঘর থেকে বেরিয়ে যান। তাতেই বিদ্যা বেশ অপমানিত বোধ করেন। যদিও তা নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে ছিলেন তিনি প্রাথমিকভাবে নারাজ। এই প্রথম নয়, তাঁর পোশাককে নিয়েও মন্তব্য করেন অনেকেই। যা তাঁকে রীতিমত আঘাত করেছিল প্রাথমিকভাবে। তাঁর চেহারা, তাঁর ফ্যাশন, সবটাই যেন সিনেপাড়ার অযোগ্য বলেই বুঝিয়ে দেওয়া হয়। তবে সেই পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করতে শিখে যান একটা সময়ের পর বিদ্যা বালান।