‘প্রথম থেকে পিছিয়ে থাকা ভাল। সবাই নয়তো হতাশ হয়ে যাবে। প্রথমে একটু সবাই আনন্দ পাক, শেষে আমরা সব নিয়ে চলে যাব’– হ্যাঁ ঠিক এমনটাই আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের সকালে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেছিলেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা উপনির্বাচনে বরাহনগর থেকে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী। সকাল থেকে ওই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষই এগিয়ে ছিলেন কিন্তু এ কী! বেলা বাড়তেই উল্টে গেল সব হিসেব। নির্বাচনে কমিশনের ৬ রাউন্ড গণনার পরেই সজলকে টপকে গেলেন সায়ন্তিকা। এই মুহূর্তে সজলের থেকে ৭১১ ভোটে এগিয়ে আছেন সায়ন্তিকা। তবে এখনও গণনা বাকি, তাই যে কোনও মুহূর্তে ঘটতে পারে যা কিছু। দিন শেষে কার পাশে বিধায়ক তকমা বসে এখন সেটাই দেখার।
এ দিন সকালে ভোট গণনা শুরু হতেই এগিয়ে ছিলেন সজল। তা নিয়ে সায়ন্তিকাকে প্রশ্ন করা হলে তাঁর গলায় ঝরে পড়েছিল আত্মবিশ্বাস। দাবি করেছিলেন শেষ হাসি হাসবেন তিনিই। সেই দিকেই কি এগচ্ছে ট্রেন্ড? আলোচনার কেন্দ্রে বরাহনগর। এই বছর লোকসভা ভোটে তৃণমূলের টিকিট পাননি সায়ন্তিকা। তা নিয়ে দলের উপর একগুচ্ছ অভিমান প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এর পরেই তৃণমূলের তরফে তাঁকে বিধানসভার প্রার্থী হওয়ার টিকিট দেওয়া হয় তাঁকে। অভিমান ভুলে বরাহনগরেই গত দুই মাস যাবৎ বাড়ি ভাড়া নিয়ে জোরকদমে প্রচার চালিয়েছিলেন তিনি। আপাতত জগন্নাথে ভরসা তাঁর। শেষ হাসি হাসেন কিনা এখন সেটাই দেখার।