পরিবারের সঙ্গে যে-কোনও জায়গায় শাহরুখ যান যখন, স্ত্রী গৌরী, জ্যেষ্ঠপুত্র আরিয়ান, কন্যা সুহানা, কনিষ্ঠপুত্র আব্রামের সঙ্গে সেখানে হাজির থাকেন আরও এক মহিলা। মাথায় বব কাট চুল তাঁর। চেহারার বলিরেখা বলে দেয় তিনিই পরিবারের গুরুজন। তিনি গৌরীর মা এবং শাহরুখের শাশুড়িমা সবিতা ছিবা। বলাই বাহুল্য, শাহরুখের জীবনে তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক ব্য়ক্তি। এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে, শাহরুখের শখের বাড়ি মন্নতের সম্পূর্ণ দায়িত্ব তাঁরই। গৌরীকে কুটে নেড়ে দুটো করতে হয় না। এক সাক্ষাৎকারে ইন্টিরিয়র ডিজ়াইনার গৌরী নিজেই জানিয়েছিলেন, তাঁর মা সবিতাই মন্নতের সমস্ত দিক খেয়াল রাখেন। তাঁর অনুমতি ছাড়া মন্নতের একটা পাতাও নড়ে না। এমনকী, বাবা-মাহীন শাহরুখও শাশুড়ি মাকে দারুণ মাণ্য করেই চলেন।
কিন্তু সবিতাদেবী ২৪ ঘণ্টা উপস্থিত থেকে তদারকি করেন না জামাইয়ের বাড়ি। তিনিও সংসারী। জামাইয়ের বাড়িতে দীর্ঘদিন থাকা তাঁর ভালও লাগে না। শাহরুখ এবং গৌরী দু’জনেই দিল্লির বাসিন্দা। ফলে গৌরীর দিল্লির বাংলোতেই থাকেন তাঁর মা এবং সেখানে বসেই যান্ত্রিক রিমোটের সাহায্যে মন্নতের তদারকি করেন নিপুণভাবে। শাহরুখও নাকি তাতে দারুণ খুশি।
ধনী পরিবারের মেয়ে গৌরীকে অল্প বয়সেই মন দিয়ে বসেছিলেন শাহরুখ। তুলনায় শাহরুখের কাছে ছিল না কিছুই। গৌরী দিল্লিতে থাকতেন বিরাট বাংলোয়। অন্যদিকে মুম্বইয়ে মন্নত কেনার আগে শাহরুখ থাকতেন একটি পেন্ট হাউজ়ে। বিষয়টি ভাল লাগত না তাঁর শাশুড়িমা সবিতাদেবীর। মন্নত কেনার পর শাহরুখের উপর সন্তুষ্ট তিনি। ফলে মন্নত দেখভালের সমস্ত দায়িত্ব তিনি নিজেই তুলে নিয়েছেন কাঁধে। দিল্লি থেকেই মন্নতের শয়ের উপর কর্মচারীদের সামলান তিনি। তাই নিশ্চিন্ত মনে মেয়ে-জামাইও নিজ-নিজ কাজে ব্যস্ত থাকেন। মায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে গৌরী বলেছিলেন, “জানি না মা না থাকলে কী হত। কীভাবে সামলাতাম এতবড় মন্নত।”