
'শত্রু' ছবির হাত ধরে বাংলা ছবির জগতে ধূমকেতুর মতো আবির্ভুত হয়েছিলেন অভিনেত্রী নুসরত জাহান। তিনি পা রেখেছিলেন বিনোদন জগতে। তখন দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর কলেজিয়েট স্কুল, তথা ভাগ্গুর ছাত্রী নুসরত। অভিনেতা-প্রযোজক জিৎ তাঁর নজরে আসেন নুসরত এবং তাঁকে ব্রেক দিয়েছিলেন সুপারস্টার।

'শত্রু' মুক্তির পরই দর্শকের নজরে আসেন নুসরত। একে-একে বহু কমার্শিয়াল বাংলা ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। পান রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ডাকও।

নুসরত জাহান

নুসরত জাহান

হঠাৎই নুসরত জানালেন যে, তাঁর এবং নিখিলের বিয়েটা বৈধ নয়। তাঁরা কেবলই লিভ ইনে রয়েছেন। আসলে তুরস্কে হওয়া বিয়েকে ভারতে নথিভুক্ত করেননি নুসরত। এদিকে সাংসদে শপথ দেওয়ার নয় তিনি নিজেকে নিখিলের স্ত্রী হিসেবে পরিচয় করিয়েছিলেন। সেই সম্পর্কটা ভাঙে। এখন নুসরতের জীবনে কেবলই যশ দাশগুপ্ত। এই যশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণেই নিখিলের জীবন থেকে সরে এসেছিলেন নুসরত।

যশ-নুসরত সন্তানও রয়েছে। কিন্তু জানেন কি, ইন্ডাস্ট্রিতে অনেকে বলাবলি করেন, নুসরতের নাকি আগেও একটা বিয়ে হয়েছিল। এবং সেই প্রেমিকের নামের ট্যাটু বুকের মধ্যে খোদাই করেছিলেন নুসরত। কে সেই ব্যক্তি?

নুসরতের বুকে একটি ট্যাটু আছে। সেই ট্যাটুটি 'VICTORY'। প্রেমিকের নাম ছিল ভিক্টর। ট্যাটুটি যখন নুসরত খোদাই করেছিলেন, সেটি ছিল VICTOR। ব্রেক আপের পর ট্যাটু ভিক্টর থেকে ভিক্ট্রি হয়ে যায়।

জামশেদপুরের ব্যবসায়ী ছিলেন ভিক্টর ঘোষ। নুসরতের ছোটবেলার বন্ধু ছিলেন তিনি। তাঁর কথা আজও স্বীকার করেন না নুসরত। সবটাই গুজব। এও শোনা যায়, পেশাদার জীবনে উন্নতি করার জন্যই নাকি ভিক্টরের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা লুকিতেয় রেখেছিলেন নুসরত।