‘কাহো না পেয়ার হে’–২০০০ সালে মুক্তি পায় এই ছবি। প্রকাশ্যে আসে বলিউডের গ্রিক গড হৃত্বিক রোশন। বাবা অভিনেতা রাকেশ রোশন পরিচালনা করেছিলেন এই ছবির। লঞ্চ করেছিলেন তাঁর সুদর্শন পুত্রকে। ‘কাহো না পেয়ার হে’ মুক্তি পাওয়ার পরই পাল্টে যায় অভিনেতার জীবন। তারকাসন্তান থেকে এক্কেবারে মহৎ তারকায় রূপান্তরিত হয়েছিলেন। ফ্যান-ফলোয়ার বেড়েছিল হুহু করে। মহিলা ফ্যান ফলোয়ারদের সংখ্যা ছিল তুলনায় বেশি। সেই সকল মহিলাদের মনে দুঃখ দিয়ে প্রেমিকা সুজ়ন খানকে বিয়ে করে ফেলেন হৃত্বিক রোশন। দুই পুত্রের জন্ম হয় তাঁদের-রেহান এবং হৃদান। সুজ়নের সঙ্গে ১৪ বছর সংসার করার পর ডিভোর্স হয় হৃত্বিকের। জানেন, ঠিক কী কারণে এই আদর্শ কাপেলের পথ আলাদা হয়েছিল। সাক্ষাৎকারে সেই কথা জানিয়েছিলেন সুজ়ন নিজেই।
২০১৩ সাল থেকেই আলাদা থাকতে শুরু করেছিলেন হৃত্বিক এবং সুজ়ন। ২০১৪ সালে তাঁদের আইনি বিচ্ছেদ ঘটে। প্রায় ৮-৯ বছর বিবাহবিচ্ছেদের কারণ সম্পর্কে একেবারেই মুখ খোলেননি তাঁরা। বছর দুই আগে বিবাহবিচ্ছেদ সম্পর্কে খোলাখুলি কথা বলেছিলেন সুজ়ন। শোনা গিয়েছিল, তাঁদের সম্পর্কে নাকি এসেছিল তিক্ততাও। বর্তমানে তাঁদের সুসম্পর্ক সকলের চোখে পড়েছে।
সুজ়ন বলেছিলেন, “আমরা একে-অপরকে খুবই সম্মান করি। আমাদের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদের কারণ যদি জানতে চান, তা হলে বলব, সেই টান আর ছিলই না। অনেকটা সময় পর আমরা উপলব্ধি করেছিলাম, আমরা আলাদা থাকলেই ভাল থাকব। ফলে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিলাম যে, ডিভোর্সটাই চূড়ান্ত।”
এ কথা সুজ়ন বলেছিলেন ঠিকই। তবে হৃত্বিকের সঙ্গে অন্যান্য মহিলাদের সম্পর্কের নানা গুঞ্জন কানে এসেছিল বারবারই। কখনও ‘কাইট’-এর অভিনেত্রী বারবারা মোরি, কখনও কঙ্গনা রানাওয়াত। সম্পর্কে প্রেম হারিয়ে গিয়েছিল, নাকি হৃত্বিকের জীবনে একাধিক নারীর প্রবেশের কারণে সরে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন, তা কেবল তাঁরাই জানেন।