‘সত্যজিতের শুটে ব্যবহৃত সেই ইঞ্জিন…’, রাজস্থানে গিয়ে অবাক বাঙালি পরিচালক

এই সিরিজটি দিয়ে সত্যজিৎ রায়ের 'সোনার কেল্লা' ছবির পঞ্চাশ বছরে ট্রিবিউট করেছেন পরিচালক। সিরিজের গল্পে এক বাঙালি পরিবার রাজস্থান বেড়াতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন, সেই সমস্যা থেকে কীভাবে উদ্ধার হয়, গল্প সেটাই। তবে সিরিজে টানটান উত্তেজনা থাকছে।

সত্যজিতের শুটে ব্যবহৃত সেই ইঞ্জিন..., রাজস্থানে গিয়ে অবাক বাঙালি পরিচালক

| Edited By: জয়িতা চন্দ্র

Jun 02, 2025 | 1:49 PM

পরিচালক রিঙ্গো এবার ‘জয়সলমির জমজমাট’ সিরিজ নিয়ে হাজির ক্লিক-এর ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এই সিরিজটি দিয়ে সত্যজিৎ রায়ের ‘সোনার কেল্লা’ ছবির পঞ্চাশ বছরে ট্রিবিউট করেছেন পরিচালক। সিরিজের গল্পে এক বাঙালি পরিবার রাজস্থান বেড়াতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন, সেই সমস্যা থেকে কীভাবে উদ্ধার হয়, গল্প সেটাই। তবে সিরিজে টানটান উত্তেজনা থাকছে। এই সিরিজ নিয়ে পরিচালক রিঙ্গোর সঙ্গে Tv9 বাংলাযর আড্ডায় উঠে এল নানা বিষয়।

প্রথমেই পরিচালক জানালেন, কেন এই সিরিজটি ‘সোনার কেল্লা’ ছবিকে ট্রিবিউট করলেন। তাঁর কথায়, “জয়সলমির জমজমাট সিরিজের শ্যুটের জন্য যখন প্ল্যান করছিলাম, তখন জয়পুর, যোধপুর, জয়সলমির রেইকি করতে যাই, তখন দেখি রায় বাবু যে-যে জায়গা গুলোতে সোনার কেল্লার শ্যুট করেছিলেন, সেই জায়গাগুলো সংরক্ষণ করে রাখা আছে। মহরণ গর ফোর্ট যেখানে ডাক্তার হাজরাকে ধাক্কা দেওয়ার দৃশ্য ছিল, একদম একইরকম রাখা আছে, কোনও পরিবর্তন হয়নি। কেবলমাত্র ট্রেন লাইনটা আর নেই, বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তবে সেই ইঞ্জিন যোধপুর স্টেশনে রাখা আছে আজও। গত পঞ্চাশ বছরে একটুও বদলায়নি। এই বিষয়টা খুব নাড়া দেয় আমায়, একটা সাহিত্য একটা সিনেমার কতটা ক্ষমতা থাকলে এটা সম্ভব। তাই ওই জায়গা গুলোতেই আমার সিরিজের শ্যুট করি তখনই প্ল্যান করে ফেলি, সোনার কেল্লার পঞ্চাশ বছর না হলেও এই সিরিজে উৎসর্গ করতাম। ”

এই সিরিজের কাস্টিং বলে নয়, তবে পরিচালক রিঙ্গোর বেশিরভাগ প্রজেক্টের অনেক নতুনদের দেখা যায় এর কারণ কী? উত্তরে পরিবর্তন বলেন, “বড় হাউজরা বক্স অফিস হিট বা পোস্টার অভিনেতাদের নিয়ে থাকে, তবে সবাই তো প্রথমে নতুন থাকে, পরে সে নিজের জায়গা করে। নুতুনদের থেকেই তো প্রতিভা উঠে আসে। আমিও একদিন নতুন ছিলাম। তাই আমি আগামী দিনে ছবি করলেও দুজন মুখ পোস্টার হিরো থাকলেও বাকিদের নতুন অভিনেতা নিতেই পছন্দ করব। ”

পরিচালক রিঙ্গো বহুবার ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করলেও খুব বেশি কাজ দেখা যায় না , প্রযোজক পেতে কেন অসুবিধা হয় পরিচালকের। এর উত্তরে পরিচালক বলেন, “অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই প্রযোজক পাওয়া। যারা অনেক কাজ করে অবশ্যই ভাল কাজ করে তাই হয়তো পায়, সে নিয়ে আমার কোনও মন্তব্য নেই, তবে আমার ক্ষেত্রে সময়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আসলে আমি শুধু পরিচালনা করি না। প্রজেক্টের সাতটা থেকে আটটা বিভাগ নিজেই দেখি। শুধু পরিচালনা করলে আমি জানি বাকি এডিট, কালার কালেকশন বিভাগ ধরে নেবে, তবে আমি সেটা করি না, কারণ আমি জানি অন্য কারও কাজ অপছন্দ হলে সেই আমাকেই প্রথম থেকে করতে হবে। তবে এটাও ঠিক প্রযোজক ধরার জন্য সময় দেওয়াটাও গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমি আগামী দিনে প্রযোজক খোঁজার সময় বার করার জন্য চেষ্টা করব। আসলে প্রযোজক ধরে ছবি করলেই তো হল না, সেই ছবি বিক্রি করা, সঠিকভাবে প্রযোজকদের টাকা ফেরত আনাও দায়িত্বে মধ্যেই পড়ে। এটা না করলে প্রযোজক একবার আশা নিয়ে আসবে, তবে বারবার আসবে না।”