বিয়ের ২৫ বছরের মাথায় আলাদা, কেন স্বামীকে এখনও ডিভোর্স দেননি মাধবী?
বাঙালির কাছে তিনি এখনও চারুলতা। মৃণাল সেন, ঋত্বিক ঘটক, সত্যিজিত্ রায় থেকে পূর্ণেন্দু পত্রী--- প্রতিটি পরিচালকের প্রথম পছন্দ ছিলেন তিনিই। কথা হচ্ছে অভিনেত্রী মাধবী মুখোপাধ্যায়ের। বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর অভিনয়ে এখনও বুঁদ সিনেপ্রেমী বাঙালি। একটা সময় নায়িকার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কম কাটাছেঁড়া হয়নি।
বাঙালির কাছে তিনি এখনও চারুলতা। মৃণাল সেন, ঋত্বিক ঘটক, সত্যিজিত্ রায় থেকে পূর্ণেন্দু পত্রী— প্রতিটি পরিচালকের প্রথম পছন্দ ছিলেন তিনিই। কথা হচ্ছে অভিনেত্রী মাধবী মুখোপাধ্যায়ের। বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর অভিনয়ে এখনও বুঁদ সিনেপ্রেমী বাঙালি। একটা সময় নায়িকার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কম কাটাছেঁড়া হয়নি। এমনকি পরিচালক সত্যজিত্ রায়ের সঙ্গেও জড়িয়েছিল তাঁর নাম। যদিও সে সব এখন অতীত। কিন্তু এখনও মাধবী এবং তাঁর স্বামী নির্মলকুমারকে নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়। বহু বছর হয়ে গিয়েছে তাঁরা আলাদা থাকছেন। ২৫ বছর সংসার করার পর আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। কিন্তু এত বছরেও স্বামীকে ডিভোর্স দেননি নায়িকা।
নেপথ্যে কারণ কী? কেন এই সিদ্ধান্ত নেননি তিনি? বেশ কিছু দিন আগে এক সাক্ষাত্কারে অভিনেত্রী তথা তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন তিনি কোনও দিন চাননি তাঁর সন্তানকে শুনতে হোক যে তার মা ডিভোর্সী। তাই বহু বছর আলাদা থাকলেও ছেলের মুখ চেয়ে স্বামী প্রবাল বসুর সঙ্গে ডিভোর্স করেননি। বহু বছর আগে এই কো-প্যারেন্টিং-এর পথেই হেঁটেছিলেন মাধবী। নায়িকার ছোটবেলাটা মোটেই সুখের ছিল না। মা-বাবার অশান্তি দেখে বড় হয়েছিলেন অভিনেত্রী। তাঁর ছোটবেলার মতো যেন মেয়েদের ছোটবেলা না হয় এমনটা ভেবেই আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মাধবী। কিন্তু ডিভোর্স দেননি স্বামী নির্মলকুমারকে। কারণ,তিনি চাননি তাঁর সন্তানকে শুনতে হোক যে তাঁর মা ডিভোর্সী। বহু বছর আলাদা থাকলেও স্বামীর জন্মদিন হোক বা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁদের একসঙ্গে দেখা যায়।