Kiran Dutta: উপার্জনের একটা টাকাও নেই কিরণের কাছে? সব যাচ্ছে কোথায়…

Youtuber Kiran: কিরণের কথায়, এখন তাঁর কোনও-কোনও ভিডিয়োর ভিউজ় এক কোটিও ছাড়িয়ে যায়। ডাক আসছে বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই। ইতিমধ্যে টলিপাড়ার সিনেমাতেও নাম লিখিয়েছেন কিরণ।

Kiran Dutta: উপার্জনের একটা টাকাও নেই কিরণের কাছে? সব যাচ্ছে কোথায়...
কিরণ দত্ত।

Sep 09, 2024 | 1:19 AM

কিরণ দত্ত, সকলের প্রিয় দ্য বংগাই । জনপ্রিয় এই ইউটিউবারকে কম বেশি সকলেই চেনেন। বাংলার বুকে রাজত্ব-করা একগুচ্ছ ইউটিউবারদের মধ্যে বং গাই অর্থাৎ কিরণ দত্ত অন্যতম নাম। তাঁর ইউটিউব চ্যানেল থেকে একটি ভিডিয়ো পোস্ট হওয়া মাত্রই তার ভিউ ছাড়ায় লক্ষ্য়। স্বভাবতই আয়ও কম নয় কিরণের। তবে কেরিয়ারের শুরুতে এসব কিছুই করার পরিকল্পনা ছিল না বং গাইয়ের। পরিবারের সকলেই চেয়েছিলেন তিনি যেন ইঞ্জিনিয়ারিং-এই মন দেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কিরণ আবিষ্কার করেন, তাঁর ভিডিয়ো তৈরির প্রতি টান রয়েছে। জি বাংলার রিয়্যালিটি শো ‘দিদি নং ওয়ান’-এর মঞ্চে এসে তেমনটাই জানিয়েছিলেন বং গাইয়ের মা। কিরণের কথায়, প্রথমটায় বেশ আপত্তি ছিল মায়ের। তিনি বারে বারে ছেলেকে বুঝিয়েছিলেন লেখাপড়ায় মন দিতে। কলেজে ওঠার পরই পাল্টে যায় মা-ছেলের সেই চেনা দ্বন্দ্ব।

শো-এর সঞ্চালক রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কিরণ জানিয়েছিলেন, হঠাৎই একদিন ঘুম ভেঙে উঠে তিনি দেখেন, একটি ভিডিয়ো ছাড়িয়েছে ২ লক্ষ ভিউ। তখনই তিনি স্থির করেন, ভিডিয়ো তৈরিতেই নজর দেবেন। প্রথম উপার্জন হিসেবে তাঁর পকেটে আসে ৭ হাজার টাকা। তখন নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও ছিল না কিরণের। এ দিকে, ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে ছেলের আয় হচ্ছে দেখে ততদিনে কিরণের মায়ের দৃষ্টিভঙ্গীও বদলায়। তিনি নিজেই ছেলেকে জানান, তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে ইউটিউব চ্যানেলটি লিঙ্ক করিয়ে দিতে। অর্থাৎ সোজা কথায়, ছেলের উপার্টাজনের টাকা কিরণের মায়ের অ্যাকাউন্টেই ঢুকবে।

মায়ের কথা অক্ষরে-অক্ষরে পালনও করেছিলেন কিরণ। এরপর লক্ষ-লক্ষ টাকা আয়ে গাড়ি-বাড়ি সবই করেছেন তিনি। তবে মায়ের অ্যাকাউন্ট থেকে আর আলাদা করেননি নিজের চ্যানেলকে। কিরণ নিজেই ‘দিদি নং ওয়ান’-এ এসে জানিয়েছিলেন, আজও সেই অ্যাকাউন্টেই তাঁর সমস্ত টাকা ঢোকে। কিরণের মা ছেলের এই সাফল্যে আজ গর্বিত।

কিরণের কথায়, এখন তাঁর কোনও-কোনও ভিডিয়োর ভিউজ় এক কোটিও ছাড়িয়ে যায়। ডাক আসছে বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই। ইতিমধ্যে টলিপাড়ার সিনেমাতেও নাম লিখিয়েছেন কিরণ।