‘অর্ডার ছাড়া বর্ডার …’ গানের আসল ইন্সপিরেশন কী? মুখ খুললেন গীতিকার জিনিয়া সেন

তবে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অনেক বেশি প্রশ্ন এসেছে। আসলে এই গানের লেখার আগে আমার ব্যক্তিগত একটি অভিজ্ঞতার কথা বলতে হবে। রক্তবীজ এর শুটিংয়ের সময় একটি ঘটনা ঘটে, আমার দাদা নাম অর্পণ সেন তাঁর দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে নয়াবাদে।

অর্ডার ছাড়া বর্ডার ... গানের আসল ইন্সপিরেশন কী?  মুখ খুললেন গীতিকার জিনিয়া সেন

| Edited By: আকাশ মিশ্র

Aug 28, 2025 | 5:28 PM

‘রক্তবীজ ২’ ছবির গান ”অর্ডার ছাড়া বর্ডার পার করতে যেওনা… পার হয় যায় গরু…” এই আইটেম গানটি দর্শকদের মধ্যে এখন বহুল প্রচলিত। স্যোশাল মিডিয়ায় এই গান ট্রেন্ড করছে। তবে এই গানের কলি শ্রোতাদের মধ্যে নানা প্রশ্ন জাগিয়েছে। এই ধরণের গানের কথা বর্তমান সময়কে তুলে ধরছে। এই গানের কথা যৌথভাবে লিখেছেন শিলাজিৎ মজুমদার ও জিনিয়া সেন। এই গানের কথার ইন্সপিরেশন কী? জানতে চাইলে জিনিয়া সেন TV9বাংলাকে জানিয়েছেন, ” এই গানের কলি নিয়ে কোনও রাজনৈতিক দল বা দলের মানুষরা কেউই আমাদের প্রশ্ন করেননি । তবে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অনেক বেশি প্রশ্ন এসেছে। আসলে এই গানের লেখার আগে আমার ব্যক্তিগত একটি অভিজ্ঞতার কথা বলতে হবে। রক্তবীজ এর শুটিংয়ের সময় একটি ঘটনা ঘটে, আমার দাদা নাম অর্পণ সেন তাঁর দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে নয়াবাদে। সেখানে দাদার ফ্ল্যাটে প্রমোটর অফিস খুলে বসে। যেহেতু আমরা ওখানে থাকতাম না, তাইএই ধরনের কাণ্ড ঘটতে থাকে , সেই সময় পুলিশকে জানানো হয়, যদিও এই বিষয় নিয়ে আমার পরিবারের অনিচ্ছাতে এই বিষয়টা নিয়ে আর এগোইনি।

এরপর যখন ‘রক্তবীজ ২’ এর শুট শুরু হয় আমরা জানতে পারি দাদার নামে একাধিক ভোটার প্যান কার্ড ছাপিয়ে একই ফ্ল্যাট তিন চার জনকে বিক্রি করেছেন প্রমোটর। আমরা পঞ্চশায়র থানায় অভিযোগ জানিয়েও কিছু হয়নিএখনও এফ আই আর নেয়নি। আমি মনে করি আমি দক্ষিণ কলকাতায় থাকি অন্যদের থেকে একটু বেশি প্রিভিলেজ, তা সত্ত্বেও আমার সঙ্গে যদি এই ঘটনা ঘটে। তাহলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কী কী হতে পারে কল্পনাও করতে পারবোনা।

জালি আধার বানিয়ে আমার দেশে লোক এসে থাকে সেতো খবরে আসছে, তবে কলকাতায় এই জালি পাসপোর্ট বানিয়ে চলছে নানা জালিয়াতি।এই কারণেই মনে হয়েছিল এই গান মানুষকে সচেতন করবে। ” জিনিয়া আরও বলেন, ” আমি বা আমাদের হাউজ কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নই, তবে সকলের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক মধুর, তারা কেউই এই গানের কলি নিয়ে কিছুই বলেননি।”