Scalp Surgery: ফ্যানে চুল জড়িয়ে রক্তারক্তি অবস্থা, ১৩ বছরের মেয়ের মাথায় ৮ ঘণ্টার অপারেশন! তারপর…
Scalp Surgery: ফরিদাবাদের অমৃতা হাসপাতালে, করা হয় জটিল স্ক্যাল্প রিপ্লান্টেশন। এতে যে কেবল তাঁর ক্ষতচিহ্নকে ঢাকা গেল তাই নয়, স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
হঠাৎই জেনারেটরের ফ্যানে আটকে গিয়েছিল ১৩ বছরের মেয়েটির চুল। সাংঘাতিক চোট পেয়েছিল ফরিদাবাদের নাবালিকা। চোট এতটাই গভীর ছিল সারা জীবনের মতো ওই নাবালিকার মাথায় থেকে যেত পারত সেই চোটের চিহ্ন। তবে সেই সম্ভাবনাকে নির্মুল করে দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। ৮ ঘণ্টার কঠিন অস্ত্রোপচারের শেষে এখন সেই সম্ভাবনা নেই।
ফরিদাবাদের অমৃতা হাসপাতালে, করা হয় জটিল স্ক্যাল্প রিপ্লান্টেশন। এতে যে কেবল তাঁর ক্ষতচিহ্নকে ঢাকা গেল তাই নয়, স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে এক মেলায় ঘুরতে গিয়ে সাংঘাতিক বিপদের মধ্যে পড়েন ওই নাবালিকা। সঙ্গে তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পরেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ফরিদাবাদের হাসপাতালে।
স্ক্যাল্পে অসম্ভব বাজে ভাবে ক্ষত তৈরি হলে তখন তার চিকিৎসার জন্য স্ক্যাল্প অ্যাভালশন পদ্ধতির সাহায্য নয়। এটি বাস্তবে অত্যন্ত জটিল এবং কঠিন একটি অস্ত্রপচার। যা করার জন্য চিকিৎসককেও মাইক্রোভাসকুলার অস্ত্রপচারে দক্ষ হতে হয়। চিকিৎসকেরা জানান, এই ধরনের অস্ত্রপচার যত দ্রুত করা যায় ততই ভাল। কিন্তু এই ক্ষেত্রে প্রায় ১০ ঘণ্টা দেরী হয়ে যায়। তবে অস্ত্রপচার সফল হয়েছে। স্ক্যাল্প অ্যাভালশন পদ্ধতির মাধ্যমে অস্ত্রপচার করে রক্তনালী, স্নায়ু এবং টিস্যুগুলিকে পুনরায় সংযুক্ত করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। নাবালিকার সুস্থ হয়ে ওঠার হার ভাল বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে এখন ওই বালিকা ভাল আছে। চিকিৎসকদের দক্ষতায় নিজের সাধারণ জীবন ফিরে পেয়েছে। নিজের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পেরেছে।