Diet: লিকুইড ডায়েট করছেন? কন্যাকুমারীর ঘটনা থেকে সাবধান হোন

Health Care Tips: অনেক ক্ষেত্রেই যা সমস্যা তৈরি করে। এমনই একটি ঘটনা সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা ফিটনেস টিপস দেখেও অনেকে প্রভাবিত হন। ডায়েট নিয়ে নানা ট্রেন্ড চলে।

Diet: লিকুইড ডায়েট করছেন? কন্যাকুমারীর ঘটনা থেকে সাবধান হোন
Image Credit source: CANVA

Jul 25, 2025 | 11:47 PM

ফিটনেসে উন্নতি করতে এবং ওজন কামানোর জন্য অনেকেই ডায়েট নিয়ে সচেতন হয়ে থাকেন। তবে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ না নিয়ে অনেক সময় নিজে থেকেও ডায়েট বেছে। অনেক ক্ষেত্রেই যা সমস্যা তৈরি করে। এমনই একটি ঘটনা সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা ফিটনেস টিপস দেখেও অনেকে প্রভাবিত হন। ডায়েট নিয়ে নানা ট্রেন্ড চলে।

সম্প্রতি তামিলনাডুর কন্যাকুমারীর এক ১৭ বছরের তরুণের মৃত্যু হয়েছে। এরপরই প্রকাশ্যে আসে লিকুইড ডায়েটের কারণেই মৃত্যু। চিকিৎসক কিংবা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়াই ট্রেন্ড ফলো করছিলেন সেই তরুণ।

যা নিয়ে এত আলোচনা, সেই লিকুইড ডায়েট কী? বিভিন্ন তরল খাবারের মাধ্যমে শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টি। সেটা ফলের রস, স্যুপ, শেক কিংবা মেডিক্যাল সাপ্লিমেন্ট অনেক কিছুই হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোনও অস্ত্রোপচার কিংবা বিশেষ শারীরীক পরিস্থিতিতে চিকিৎসকরা তরল খাবারে জোর দেওয়ার কথা বলে থাকেন। কিন্তু ওজন কমানোর জন্য এরকম সংক্ষিপ্ত পথ ভয়ঙ্কর হতে পারে!

লিকুইড ডায়েট কতটা ক্ষতিকারক হতে পারে? চিকিৎসক অজিত কুমারের মতে, এই ধরণের ডায়েট সকলের জন্য নয়। ইন্টারনেট কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখে এমন সিদ্ধান্ত না নেওয়াই শ্রেয়। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কোন ধরণের ডায়েট প্রয়োজন সেটা চিকিৎসক দেখে পরামর্শ দেবেন।

চিকিৎসকের মতে, লিকুইড ডায়েটে ফাইবার, প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং প্রয়োজনীয় ভিটামিন-খনিজ পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে না। এর ফলে শরীরে পর্যাপ্ত মাত্রায় পুষ্টি মেলে না। প্রোটিন কম থাকার ফলে পেশি কমজোর হয়ে পড়ে। দীর্ঘ সময় ধরে লিকুইড ডায়েটে থাকলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে।

দীর্ঘদিন লিকুইড ডায়েটের ফলে ব্লাড প্রেসার, ব্লাড সুগারের সমস্যা, হরমোনাল ভারসাম্য হারানো, হজম শক্তিতে প্রভাব, মানসিক ভাবে ক্লান্তি এবং মেজাজ চিড়চিড়ে হয়ে থাকার মতো নানা সমস্যা হতে পারে।

বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: এই প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র তথ্য জানানো। কোনও রকম সমস্যা কিংবা দ্বিধা থাকলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।