অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, অত্যধিক মানসিক চাপ, মাত্রাতিরিক্ত ফোন ও কম্পিউটারের ব্যবহার—এমন নানা কারণ পুরুষদের মধ্যে ইরেকটাইল ডিসফাংশনের সমস্যা ডেকে আনে। পুরুষের বন্ধ্যাত্ব নিয়ে খুব বেশি আলোচনা হয় না। অথচ, ইরেকটাইল ডিসফাংশনের জেরে পুরুষদের মধ্যে প্রস্টেট ক্যানসার ও হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। লজ্জার ভয়ে অনেকেই লুকিয়ে যান ইরেকটাইল ডিসফাংশনের সমস্যা। এটি শুধু যে আপনার যৌন জীবন নষ্ট করে দিতে পারে, তা নয়। এটি কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট বা স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে। তবে, ইরেকটাইল ডিসফাংশনের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়ও রয়েছে। হীনমন্যতায় ভোগার বদলে এই কয়েকটি খাবার রাখুন ডায়েটে।
বেরি: স্ট্রবেরি, ব্লুবেরির মতো ফল পুরুষদের মধ্যে ইরেকটাইল ডিসফাংশনের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। আপেল, ন্যাসপাতি ও সাইট্রাস ফল খেলেও ১৯% পর্যন্ত কমে ইরেকটাইল ডিসফাংশনের সমস্যা। এসব ফলে ফ্ল্যাভনয়েড রয়েছে, যা বন্ধ্যাত্বের সমস্যা দূর করে। ইরেকটাইল ডিসফাংশনের সমস্যা দূর করতে দুর্দান্ত কাজ করে তরমুজ।
অলিভ অয়েল: সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করে অলিভ অয়েল। এই তেলের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা দেহে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান হিসেবে কাজ করে। এই তেলে রান্না করা খাবার খেলে ইরেকটাইল ডিসফাংশনের সমস্যা কমে।
দানাশস্য: ফাইবারের ভরপুর দানাশস্য ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরলের রোগীদের জন্য উপযোগী। আর এই ডায়েট যদি আপনিও মেনে চলেন, ইরেকটাইল ডিসফাংশনের হাত থেকে মুক্তি পাবেন।
মাংস: রেড মিট, চিকেন, ডিম, মাছের মতো খাবার পুরুষদের মধ্যে ইরেকটাইল ডিসফাংশনের সমিস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এসব খাবারে নাইট্রিক অক্সাইড রয়েছে, যা রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। পেনিসে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এই ধরনের খাবার।
রসুন: রসুনের মধ্যে অ্যালিসিন নামের যৌগ দেহে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটি পুরুষাঙ্গে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে সাহায্য করে। এতে ইরেকটাইল ডিসফাংশনের সমস্যা সহজেই এড়ানো যায়।
বিটরুট: সব ধরনের শাকসবজিই পুরুষদের স্বাস্থ্যের জন্য উপযোগী। তবে, ইরেকটাইল ডিসফাংশনের সমস্যা থাকলে বেশি করে বিটরুট খান। এই সবজি মধ্যে নাইট্রেট রয়েছে। এটি দেহে নাইট্রিক অক্সাইডে রূপান্তরিত হয়, যা দেহে রক্ত প্রবাহ উন্নত করে তোলে।