
স্বাস্থ্যসচেতন অনেকেই অঙ্কুরিত ছোলা খেয়ে থাকেন। ছোলা ভিজিয়ে রাখলে অনেক সময়ই তা থেকে গাছ বেরোতে দেখা যায়। রাতারাতি সেটি না হলেও অনেক সময় ২-৩ দিন রাখলে এমনটা হতেই পারে। অঙ্কুরিত ছোলা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো এমনটাই বলা হয়ে থাকে। শুধু ছোলাই নয়, এমন অনেক দানাশস্যই রয়েছে যা ভিজিয়ে রাখলে অঙ্কুর বেরোয়। সেগুলি খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারীও। কিন্তু সব কিছুর ক্ষেত্রেই কি তা সমান? এমনটা নাই হতে পারে। বিশেষ করে রান্নায় নিয়মিত ব্যবহার হওয়া এই তিন সব্জি থেকে গাছ বেরোতে শুরু করলে, তা না খাওয়াই শ্রেয়। এর নানা কারণও রয়েছে।
রোজ বাজার যাওয়া সকলের পক্ষে সম্ভব হয় না। আর এমন কিছু জিনিস থাকে, যেগুলি একবারে বেশি করে এনে রাখাই পছন্দ করেন কার্যত সকলেই। তার কারণ, রোজই রান্নায় ব্যবহার হয়। এমনই তিন সবজি বা মশলা বলা যায় পেঁয়াজ, রসুদ এবং আদা। রোজই প্রায় রান্নায় ব্যবহার হয় এই তিন উপাদান। আর এই তিনটি উপাদানই দীর্ঘ সময় রাখলে গাছ বেরোতে দেখা যায়। পুষ্টিবিদদের মতে এমন অঙ্কুরিত সব্জি শরীরে বড় রকমের ক্ষতি করতে পারে। শুধু তাই নয়, অনেক সময় চিকিৎসাকেন্দ্রেও যেতে হতে পারে। জেনে নেওয়া যাক, কোন তিনটি সব্জির কথা বলা হচ্ছে।
পেঁয়াজ-অনেক দিন ধরে রাখলে, অনেক সময়ই দেখা যায়, পেঁয়াজ থেকে গাছ বেরোতে। আর এই প্রক্রিয়ায় পেঁয়াজে একটি কেমিক্যাল বেরোয়। যা অ্যালকালয়েড হিসেবে পরিচিত। এই কেমিক্য়াল রক্তকোষে সমস্যা তৈরি করতে পারে। যার ফলে রক্তাল্পতা হতে পারে। এমনকি ডায়েরিয়া, বমি, ঝিমুনি বা ক্লান্তির মতো সমস্যাও হতে পারে।
রসুন-পুষ্টিবিদদের মতে, গাছ হচ্ছে এমন রসুনও এড়িয়ে চলা উচিত। রসুনের ক্ষেত্রে সালফারের উপাদান বেড়ে যায়। যা শরীরের মধ্যে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। শুধুমাত্র রক্তকোষই নয়, পেট খারাপের সমস্যাও হতে পারে। সুতরাং, রসুন এমন পরিস্থিতি হলে তা ফেলে দেওয়াই শ্রেয়, রান্নায় ব্য়বহার একদম নয়।
আলু-রান্নায় নিয়মিত ব্যবহার হয়। আলু এমন একটি সব্জি যা দিয়ে অনেক কিছুই বানানো যায়। বা বলা ভালো সব কিছুতেই প্রায় ব্যবহার করা যায়। কিন্তু আলুও দীর্ঘ দিন রাখলে তা থেকে এমন গাছ বেরোতে থাকে। যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। পুষ্টিবিদদের মতে, আলুতে এমন পরিস্থিতিতে একটি উপাদান থাকে গ্লাইকোলক্যালোয়েডস। বিশেষত আলুর মধ্যে সবুজ অংশে থাকে। এরকম আলু খাওয়ার পর বিষক্রিয়াও হতে পারে। যার ফলে বমি, ডায়েরিয়া, মাথাব্যথা, পেটব্যথার পাশাপাশি স্নায়ুতন্ত্রেও সমস্যা হতে পারে।
বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: এই প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র তথ্য জানানো। কোনও রকম সমস্যা কিংবা দ্বিধা থাকলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।