
এক্সারসাইজ করা শরীরের পক্ষে খুবই ভালো। সকলেই যে নিয়মিত এক্সারসাইজ করেন, তা নয়। তবে অনেকেই নিয়মিত ফিটনেস ট্রেনিং করেন। সকলের যে পর্যাপ্ত সময় থাকে তাও নয়। ফলে অনেক ক্ষেত্রে ইচ্ছে থাকলেও এক্সারসাইজ ‘হয়ে ওঠে না’। কেউ বা বাহানা করেই কাটিয়ে দেন। পরিস্থিতি যাই হোক, অনেকেরই নানা প্রশ্নও থাকে। যেমন হার্টের স্বাস্থ্যের কথাই ধরা যাক। ওয়ার্কআউট বা ফিটনেস ট্রেনিংয়ের ফলে সার্বিক হেলথের পাশাপাশি হার্টের স্বাস্থ্যও খুব ভালো থাকে। কিন্তু এর জন্য তিন মিনিটের এক্সারসাইজই কি যথেষ্ঠ? গবেষণা কিন্তু তাই বলছে।
সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় যে তথ্য উঠে এসেছে, তাতে কিন্তু তিন মিনিট নেহাৎ কম সময় নয়। গবেষকরা প্রায় ২৪,১৩৯ মানুষের উপর একটি পরীক্ষা করেছেন, যাঁরা নিয়মিত এক্সারসাইজ করেননি। তাঁদের পুরনো দু-বছরের তথ্য নিয়েছিলেন গবেষকরা। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি মহিলা। আর গড় বয়স প্রায় ৬২ বছর। তারা শারীরীক ভাবে কতটা অ্যাক্টিভ ছিলেন, এবং কোনও সমস্যা হয়েছিল কি না, সেটাও দেখা হয়। পাশাপাশি ট্র্যাক করা হয়, তাঁদের শারীরীক সমস্যার কারণ হার্টের অসুস্থতা ছিল কি না। যেমন স্ট্রোক, হার্ট ফেইলিয়ার, বা মৃত্যুর কারণ হার্টের সমস্যার জন্য কি না, সেগুলিও চেক করা হয়। এর মধ্যেই বেরিয়ে আসে চমকপ্রদ তথ্য।
অনেকেই থাকেন, যাঁরা এক্সারসাইজ করেন না, তবে শারীরীক ভাবে নানা কাজে ব্যস্ত থাকেন। অর্থাৎ কাজটা উদ্দেশ্য কিন্তু এক্সারসাইজও নয়। তাতেও শরীরে এক্সারসাইজ তো হচ্ছে? আর সেই রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, যাঁরা দৈনিক দু-তিন মিনিটও শারীরীক ভাবে অ্যাক্টিভ থেকেছেন, তাদের মধ্যে হার্টের সমস্যা দেখা যায়নি।
তিন মিনিটের ম্যাজিক! বড় একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নিয়মিত ওয়ার্ক আউট না করলেও যারা কিছুটা হাঁটা, ফ্রি-হ্যান্ড, অর্থাৎ বডি মুভমেন্ট হয়, তাঁদের হার্টের সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি একঝটকায় ৫০ শতাংশ কমে যায়। এমননকি স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের মতো বড় রকমের ঝুঁকিও কমে। গবেষণায় এমনটাই ধরা পড়েছে, দিনে অন্তত দু-তিন মিনিটের এক্সারসাইজই যথেষ্ঠ। মনে হতে পারে, এটুকু সময়ে কী হয়? জীবনে নানা বদলই আসতে পারে।
বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: এই প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র তথ্য জানানো। কোনও রকম সমস্যা কিংবা দ্বিধা থাকলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।