গরম জল, ইন্টিমেট ওয়াশ কোনওটাই যোনির জন্য নয়, ভ্যাজাইনা পরিষ্কার করবেন কীভাবে?
Vagina Cleaning Tips: ভ্যাজাইনা হল এমন একটি অঙ্গ, যা নিজে থেকেই পরিষ্কার হয়ে যায়। আপনাকে খুব বেশি কসরত করতে হয় না। কিন্তু ঋতুস্রাবের সময় এবং সেক্সের পর ভ্যাজাইনা পরিষ্কার করা ভীষণ জরুরি। এছাড়া রোজ স্নানের সময় একবার করে যোনি এলাকা পরিষ্কার করে নিলেই হবে।

যোনির স্বাস্থ্য বজায় না রাখলে সংক্রমণের ঝুঁকি দিন-দিন বাড়বে। যোনি থেকে দুর্গন্ধ বেরোনো, চুলকানি, জ্বালাভাবের মতো উপসর্গগুলো জানান দেয় যে, ভ্যাজাইনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন নেই। শুধু ঋতুস্রাব চলাকালীন যোনি এলাকা পরিষ্কার করবেন—এমন নয়। সেক্সের পরও ভ্যাজাইনা পরিষ্কার করা ভীষণ জরুরি। এছাড়া প্রতিদিন যোনি এলাকা পরিষ্কার করতে হবে।
ভ্যাজাইনা হল এমন একটি অঙ্গ, যা নিজে থেকেই পরিষ্কার হয়ে যায়। আপনাকে খুব বেশি কসরত করতে হয় না। কিন্তু ঋতুস্রাবের সময় এবং সেক্সের পর ভ্যাজাইনা পরিষ্কার করা ভীষণ জরুরি। এছাড়া রোজ স্নানের সময় একবার করে যোনি এলাকা পরিষ্কার করে নিলেই হবে। ভ্যাজাইনা পরিষ্কার করার জন্য কোনও ইন্টিমেট ওয়াশ (যোনি পরিষ্কারের জন্য ব্যবহৃত এক বিশেষ তরল) ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। এমনকি সাবানও ব্যবহার করার দরকার নেই। শুধু সাধারণ জল ব্যবহার করলেই কাজ হবে। কিন্তু গরম জল ব্যবহার করা চলবে না।
গরম জল ভ্যাজাইনার পিএইচ স্তরের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়। ভ্যাজাইনায় অ্যাসিডিক উপাদান উপস্থিত থাকে, তাই এর পিএইচ স্তর ৩.৮ থেকে ৪.৫ রাখা দরকার। এর বেশি হলেই যোনিতে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার উপদ্রব বেড়ে যায়। তাই গরম জল ব্যবহার করলে যোনিতে ইস্ট ও অন্যান্য ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
গরম জল যোনির ত্বকে উপস্থিত প্রাকৃতিক তেল ও ময়েশ্চারকে নষ্ট করে দেয়। এতে যোনি অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যায়। পাশাপাশি বাড়ে চুলকানি ও অস্বস্তির সমস্যা। এই শুষ্কভাব যৌন মিলনে লিপ্ত হওয়ার সময় সমস্যা বাড়ায়। পাশাপাশি ইস্ট সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়ে। গরম জল ব্যবহার করলে যোনি এলাকা সেনসিটিভ হয়ে যায়। একই জিনিস ঘটে যখন আপনি ভ্যাজাইনা পরিষ্কার করতে ইন্টিমেট ওয়াশ বা কোনও সাবান ব্যবহার করেন। কোনও প্রসাধনীই যোনি এলাকার জন্য সুরক্ষিত নয়।
যোনি এলাকা পরিষ্কার করবেন যে উপায়ে:
১) ঘরের তাপমাত্রায় থাকা জল দিয়ে যোনি এলাকা ধুয়ে নিন। এছাড়া আপনি ঈষদুষ্ণ জলও ব্যবহার করতে পারেন। এতে যোনি এলাকায় পিএইচ স্তরের ভারসাম্য বজায় থাকে এবং অস্বস্তি করে।
২) যোনি অঞ্চলের উপরেই শুধু জল দিয়ে পরিষ্কার করুন। এছাড়া ভ্যাজাইনার উপর কোনও সুগন্ধি পণ্য ব্যবহার করবেন না। হাত দিয়ে ভ্যাজাইনা পরিষ্কার করুন। কিন্তু ভুলেও ভ্যাজাইনার ভিতর পরিষ্কার করতে যাবেন না।
৩) যোনি এলাকা পরিষ্কারের পর শুকনো ও পরিষ্কার তোয়ালে বা টিস্যু দিয়ে মুছে নিন। স্যাঁতস্যাঁত বা ভিজে অবস্থায় থাকলে যোনিতে ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। এখান থেকেই ইস্ট সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়ে।
৪) পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন অন্তর্বাস পরুন। চেষ্টা করুন সুতির অন্তর্বাস পরার। এতে যোনি এলাকার স্বাস্থ্য বজায় থাকে।
