অনেক সময়ই কোনও বড় রোগের উপসর্গ বুঝতে অবহেলা হয়। নানা কারণে তা খারাপ দিকে যায়। মাথাব্যথাও তেমনই। অনেক সময় স্রেফ মাথাব্যথা ভেবেই অনেকে এটিকে অবহেলা করেন। ভাবেন সাধারণ মাথাব্যথা, ঠিক হয়ে যাবে। হতেই পারে, এ সাধারণ মাথাব্যথা নয়! হয়তো মাইগ্রেন? আর সেটা হলে পরিস্থিতি জটিল হতেই পারে। মাইগ্রেন হল নিউরোজিক্যাল সমস্যা। যা দীর্ঘস্থায়ী। দৈনন্দিন জীবনে সবচেয়ে অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠতে পারে মাইগ্রেন। শারীরীক সমস্যার পাশাপাশি মানসিক ভাবেও বিপর্যস্ত করে দিতে পারে।
এর কী প্রভাব পড়তে পারে?
মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে নিয়মিত ভাবে মূলত মাথাব্যথা হতে থাকবে। সঙ্গে আরও নানা অস্বস্তিই হতে পারে। স্বাভাবিক ভাবেই তা প্রত্যেকের দৈনন্দিন জীবনে সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোয়, সামাজিক অনুষ্ঠানে যেতে অনিহা। এমনকি স্কুল, কলেজ এবং কাজের ক্ষেত্রেও অস্বস্তির কারণ হতে পারে। ক্রনিক মাইগ্রেন আরও যন্ত্রণার। মাসে অন্তত ১৫ দিন অসহ্য মাথাব্যথা হতে পারে। ক্রমশ তা অবসাদের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
ক্রনিক মাইগ্রেন থাকা অনেক রোগীই বলে থাকেন, তাঁদের দৈনন্দিন জীবনে বড় প্রভাব ফেলে এই সমস্যা। এর জন্য কী করণীয়, কিংবা গ্রহণযোগ্য কোনও থেরাপিও বলা কঠিন। অনেকেই দীর্ঘ সময় ধরে এই রোগের সঙ্গে লড়াই করে চলেন। একে নানা ভাবে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। মাইগ্রেন পুরোপুরি সেরে ওঠার জায়গা এখনও জানা নেই। তবে চিকিৎসকের পরামর্শে নিয়ন্ত্রণ করার পদ্ধতি এবং সেরা চিকিৎসার খোঁজ পেতে পারেন। তাই দ্রুত এর উপসর্গ ধরে নিতে পারলে, হয়তো আগেই সেরে ওঠা সম্ভব। মাথাব্যথা হলেই অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।