World Oral Health Day: দাঁতের যত্ন নেবেন কীভাবে? এই প্রসঙ্গে রয়েছে কী কী ‘মিথ’

একঝলকে দেখে নেওয়া যাক ওরাল হাইজিনের ক্ষেত্রে কী কী মিথ আমাদের প্রতিদিনের জীবনে শোনা যায় এবং বাস্তবে সেগুলো কতটা কার্যকর বা সত্যি।

World Oral Health Day: দাঁতের যত্ন নেবেন কীভাবে? এই প্রসঙ্গে রয়েছে কী কী 'মিথ'
রুটিন মাফিক ৬ মাসে একবার দাঁতের ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত।
Follow Us:
| Updated on: Mar 21, 2021 | 10:00 AM

ওরাল হেলথের খেয়াল রাখা অর্থাৎ মুখের ভিতরের অংশ, বিশেষ করে দাঁত এবং মাড়ির যত্ন নেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। হেলদি লাইফস্টাইলের অন্যতম কাজ হল দাঁত ভাল রাখা। অর্থাৎ ওরাল হাইজিন বজায় রাখা। এর পাশাপাশি মুখে যাতে দুর্গন্ধ না হয়, মাড়ি থেকে যাতে রক্ত না পড়ে এবং যেকোনও সমস্যায় দাঁতে যাতে যন্ত্রণা না হয়, দাঁত ক্ষয়ে না যায়— সেদিকে খেয়াল রাখা দরকার।

আরও পড়ুন- অবসাদগ্রস্ত ব্যক্তির সঙ্গে এই ভুলগুলি মোটেও করবেন না

কিন্তু এই ওরাল হেলথ বজায় রাখতে গিয়েছে, হামেশাই আমাদের নানারকম প্রবাদ শুনতে হয়। এগুলো কি আদৌ সত্যি? একঝলকে দেখে নেওয়া যাক ওরাল হাইজিনের ক্ষেত্রে কী কী মিথ আমাদের প্রতিদিনের জীবনে শোনা যায় এবং বাস্তবে সেগুলো কতটা কার্যকর বা সত্যি।

দিনে দু’বার দাঁত মাজলেই কি ‘ওরাল হেলথ’ সঠিকভাবে বজায় থাকে?

অনেকসময়ই বলা হয় দিনে দু’বার দাঁত মাজলে, তবেই ভাল থাকে দাঁত। কিন্তু আপনি যতই ভাল করে দাঁত মাজুন না কেন, এর ফলে কেবল মুখের ভিতরের ২৫ শতাংশ পরিষ্কার হয়। অতএব ব্রাশ করার পর মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করা প্রয়োজন। তার ফলে মুখের বাকি অংশে থাকা জীবাণু মরে যায় বা নষ্ট হয় কিংবা দূর হয়। এসেনসিয়াল অয়েল যুক্ত মাউথওয়াশ কখনও গারগেল করবেন না। কেবল মুখ কুলকুচি করে ফেলে দিন।

মাউথওয়াশ বা মাউথফ্রেশনার কেবল মুখের দুর্গন্ধ দূর করে?

এই তথ্য একেবারেই সঠিক নয়। মুখের মধ্যে থাকা জীবাণুর ২৫ শতাংশ বিনষ্ট হয় ব্রাশ করার ফলে। কিন্তু বাকি অংশ পরিষ্কারের জন্য এসেনসিয়াল অয়েল যুক্ত মাউথওয়াশ প্রয়োজন। আর মুখের ভিতরে আটকে থাকা অন্যান্য অংশের খাবারদাবারও মাউথওয়াশ দিয়ে কুলকুচির করলে বেরিয়ে যায়। এছাড়া আপনি তো ব্রাশ করেছেনই। অতএব আপনার ‘ওরাল হেলথ’ ঠিকই থাকবে।

শক্ত ব্রাশ দাঁত মাজার জন্য ভাল?

এর ঠিক উল্টো তথ্য আসলে ঠিক। নরম ব্রাশ দিয়ে আলতো হাতে ব্রাশ করলে তবেই উপকার হয়। একগাদা টুথপেস্ট দিয়ে দীর্ঘক্ষণ ধরে দাঁত মাজলেই ‘ওরাল হেলথ’ বজায় থাকে না। বরং হিতে বিপরীত হতে পারে। প্রতি ২-৩ মাসে একবার ব্রাশ বদল করা দরকার। এছাড়াও রুটিন মাফিক ৬ মাসে একবার দাঁতের ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত। আপনার দাঁতে কোনও সমস্যা আপাতভাবে দেখা না গেলেও হয়তো সত্যিই সমস্যা রয়েছে। তাই রুটিন চেকআপের জন্য ডেনটিস্টের কাছে যান।