
অনেকেই বলে থাকেন, মদ্যপানের অভ্যেস নেই, তবে ‘অকেশনালি’ চলে। আবার অনেকে বলেন, নিয়মিত তো পান করি না! ওই সপ্তাহে একদিন…। কেউ বা আবার সপ্তাহের কাজের শেষ দিনটায় একটু আধটু মদ্যপান করে থাকেন। নিয়মিতদের কথা না হয় ছেড়েই দেওয়া হল। সপ্তাহান্তে যাঁরা মদ্যপান করে থাকেন তাঁদের কতটা ক্ষতি হয়? হঠাৎ করে হয়তো বোঝা সম্ভব নয়। তবে চিকিৎসকের শেয়ার করা ছবি শিউরে ওঠার মতোই। একদিন মদ্যপানেও রেহাই নেই!
মদ্যপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। এ আর নতুন করে বলার নেই। চিকিৎসকরাও বারবার সতর্ক করেন। এমনি বিশ্ব স্থাস্থ্য সংস্থার (WHO) পরামর্শ, এক বিন্দুও মদ্যপান নয়। এই সতর্কবার্তা শুনলে-পড়লে-দেখলেও বার্তাটা সকলেই মানেন না। কেউ বা নিয়মিত, কেউ আবার মাঝে মধ্যে মদ্যপান করে থাকেন। যাঁরা বলে থাকেন, সপ্তাহের শেষ দিনটায় একটু পান করে থাকি, তাঁদের জন্য ভয়ঙ্কর ছবি পোস্ট করলেন ডা: সিরিয়াক অ্যাবি ফিলিপস। যিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘দ্য লিভার ডক’ নামেই জনপ্রিয়।
সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডল এক্স-এ (যা টুইটার নামে পরিচিত ছিল) একটি পোস্ট করেছেন The Liver Doc ডা: ফিলিপস। দুটি ছবি পোস্ট করে সঙ্গে তাঁর বার্তা-হ্যালো, একজন ৩২ বছরের ব্যক্তির লিভারের ছবি দেখাতে চাই। এমন একজন ব্যক্তি, যিনি ‘শুধুমাত্র উইকেন্ডে’ মদ্যপান করে থাকেন। আপাতত একটা সুস্থ লিভার-দাতা পেয়েছেন, যিনি আসলে তাঁর স্ত্রী। আপাতত এর সৌজন্যে নিজেদের ছোট্ট মেয়েটাকে বেড়ে উঠতে দেখার সুযোগ পাবেন।
সপ্তাহে একদিন মদ্যপান করা ব্যক্তি এবং তাঁর সুস্থ স্ত্রীর লিভার, দুটি ছবিই পোস্ট করেছেন ডা: ফিলিপস। তাঁর এই পোস্টে একজন লিখেছেন, ‘মদ হল বিষ। এটা ধ্রুব সত্য। আপনার লিভারের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ছে। সময়ের সঙ্গে ফ্যাটি লিভার, ফাইবোরোসিস, সিরিয়োসিস এবং সবশেষে বলা যায় লিভার কাজ করা বন্ধ করে দেবে। আর যতদিনে এটার উপসর্গ আপনি জানতে পারবেন, অনেকটা দেরী হয়ে যাবে। কোনও মানুষের নিশ্চয়ই একদিন ঘুম থেকে উঠল এবং লিভার নষ্ট হয়ে গেল, এমনটা হয় না। ধীরে ধীরে সেটাকে মেরে ফেলা হয়। পানের সময় হয়তো সেটা মনে থাকে না।’
অনেকে নিজের দৃষ্টিকোণও জানিয়েছেন। একজনের মতে, ‘হতেই পারে সেই ব্যক্তি অতিরিক্ত মটন খেতেন। হয়তো মদ্যপানে নয় বরং মটনের জন্যই লিভারের এই হাল। আশাকরি আপনি তাঁকে ডায়েট বদল করতে বলেছেন?’ আর একজন লিখেছেন-‘বড্ড জানতে ইচ্ছুক, সপ্তাহে কতটা মদ খেলে লিভারের এই হাল হতে পারে? সপ্তাহ শেষে মাত্র দু-পাত্তর পান করেও এমন হতে পারে? নাকি প্রত্যেকটা মানুষের গ্রহণ করার ক্ষমতা আলাদা?’