
সমস্যাটা হয়তো সকলের নয়। তবে অনেকের ক্ষেত্রেই হয়। ফিট থাকতে এক্সারসাইজ করেন। কিন্তু সমস্যায় পড়েন এরপরই। এক্সারসাইজের পর অনেকেরই অসম্ভব মাথা যন্ত্রণা শুরু হয়। এর ফলে এক্সারসাইজের ইচ্ছেটাও নষ্ট হয়ে যায়। ফিট হওয়ার ইচ্ছেতে যদি বাড়তি ভাবনা মাথায় ঢোকে সমস্যা বাড়ে। কিন্তু এর কারণও রয়েছে। অবশ্যই সমাধানও। জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত।
জিম হোক কিংবা বাড়িতে ওয়ার্ক আউটের পর অসহ্য মাথা যন্ত্রণায় ভোগেন। সমস্যা অনেকেরই। এটা কি শুধুই সামান্য মাথাব্যথা? নাকি বড় কোনও সমস্যার ইঙ্গিত?
দিল্লির আরএমএল হাসপাতালে মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ পুনীত কুমার এর কারণ এবং সমস্যার সমাধানও জানিয়েছেন। ফিটনেস ট্রেনিং বা ওয়ার্কআউটের সময় শরীরে ঘাম হয়। যে কারণে শরীর থেকে অনেক জলও বেরিয়ে যায়। চিকিৎসকের মতে, শরীরে জল কিংবা তরলের পরিমাণ কম হলে মস্তিষ্কে এর প্রভাব পড়ে। মস্তিষ্কের কোষগুলিতে টান ধরে এবং মাথাব্যথা হয়ে থাকে। এমনটা হলে কী করবেন?
ডাঃ পুনীত কুমার জানিয়েছেন-এক্সারসাইজের আগে এবং পরে অন্তত ১-২ গ্লাস জল পান করুন। দীর্ঘ সময় ওয়ার্কআউট করলে এনার্জি ড্রিঙ্ক নিন।
অনেক সময় খালি পেটে ওয়ার্কআউট করলে ব্লাড সুগার স্তর নেমে যায়। যে কারণে দুর্বলতা, মাথা ঘোরানো এবং অসহ্য মাথা যন্ত্রণা হতে পারে। এর জন্য় এক্সারসাইজ বা ওয়ার্কআউটের ৩০-৪৫ মিনিট আগে সামান্য হলেও খাবার খেতে হবে। এক্সারসাইজের আগে কলা, ওটস বা এককথায় ব্যালান্স ডায়েট রয়েছে এমন খাবার খান।
এক্সারসাইজে ভুল করছেন না তো? অনেক ক্ষেত্রেই হতে পারে, যে এক্সারসাইজটা করছেন, বডি পশ্চার ঠিকঠাক রাখছেন না? ঘাড় কিংবা পিঠের পশ্চার ঠিক রাখতে না পারলে পেশীতে টানও ধরতে পারে। যে কারণে মাথাব্যথাও হতে পারে। কমপ্লিট এক্সারসাইজ করার আগে অবশ্যই স্ট্রেচিং, ওয়ার্মআপ, ফ্রি-হ্যান্ড করে শরীর নমনীয় করে নিতে পারেন। এর ফলে শরীরে চাপ কম পড়বে।
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, দীর্ঘ বিরতির পর এক্সারসাইজ করছেন। শুরুতেই ভারী এক্সারসাইজ না করাই শ্রেয়। দীর্ঘ বিরতির পর ভারী এক্সারসাইজ করলে সমস্যা হতে পারে। চেষ্টা করুন, ধীরে ধীরে এক্সারসাইজের মাত্রা বাড়াতে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রামও প্রয়োজন।
এর পাশাপাশি আরও যে একটা কারণ হতে পারে, এক্সারসাইজের সময় অনেক সময়ই শ্বাস প্রশ্বাসের প্যাটার্ন ঠিক থাকে না। যে কারণে অক্সিজেন সাপ্লাইয়ে সমস্যা হয়। এরও প্রভাব পড়তে পারে এক্সারসাইজে। ফলে জোরালো মাথাব্যথাও। ওয়ার্ক আউট করার আগে ব্রিদিং এক্সারসাইজ করে নিলে সমস্যা কমতে পারে।
বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: এই প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র তথ্য জানানো। কোনও রকম সমস্যা কিংবা দ্বিধা থাকলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।