
অনেকেই পাউরুটি কিনে এনে, সোজা ফ্রিজে ঢুকিয়ে দেন। সেই পাউরুটি থেকে, প্রয়োজনীও পাউরুটি ব্যবহার করে ফের প্যাকেট রেখে দেন ফ্রিজের ভিতর। কিন্তু জানেন কি, বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই ধরনের অভ্যাস মোটেই ভাল নয়! এতে বড়সড় সমস্যা হতে পারে।
ব্য়াপারটা একটু খোলসা করে বলা যাক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ক্যারোলাইন ক্লেমসন বিশ্ববিদ্য়ালয়ের এক গবেষণাপত্র অনুযায়ী, ফ্রিজে রাখা পাউরুটি খাওয়া মোটেই ভাল নয়। এত শুধুই স্বাদের পরিবর্তন হয় না, এটা স্বাস্থ্যের পক্ষে বেশ ক্ষতিকর।
গবেষণাপত্র অনুযায়ী, পাউরুটি তৈরিতে ময়দা বা আটা, জল ও অল্প পরিমাণ নুনের সঙ্গে ইষ্ট ব্যবহার করা হয়। ময়দা বা আটার সঙ্গে ইস্ট মেশানোর ফলে এটি ফার্মেন্টেশন হয়ে কার্বন ডাই অক্সাইড তৈরি করে। এই কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাসের চাপে পাউরুটি দেয়ালে ফাঁকা ফাঁকা জায়গা তৈরি করে। যা কিনা পাউরুটিকে নরম তুলতুলে রাখতে সাহায্য করে। গবেষকরা বলছেন, পাউরুটি ফ্রিজে রাখা হলে তার স্বাভাবিক আদ্রতা নষ্ট হয়ে যায় এবং খটখটে হয়ে ওঠে। ফ্রিজের নিম্ন তাপমাত্রায় পাউরুটি তার স্বাভাবিক আদ্রতা হারিয়ে ফেলে।
গবেষকরা বলছেন, আদ্রতা হারিয়ে ফেলার কারণে পাউরুটির মধ্যে ফ্রিজের ভিতর থাকা অবস্থায় ছত্রাক তৈরি হয়। যা কিনা একেবারেই স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। এই ছত্রাকের ফলে পেটে ব্যথা, বমি এবং ডায়রিয়া হতে পারে।
গবেষকরা মনে করছেন, পাউরুটি সংরক্ষণ করা একেবারেই উচিত নয়। বরং পাউরুটির প্যাকেট খুলে পুরোটা ব্যবহার করে নিন। অথবা ফয়েল পেপারে পুরে নিয়ে পাউরুটি স্লাইস গুলোকে কোনও বড় মাপের টিফিন বক্সে রেখে দিন। স্বাভাবিক তাপমাত্রাতেই ভাল থাকবে এই পাউরুটি।