Pregnancy and PCOS: PCOS থাকলেও মা হওয়ার পথে কোনও বাধা নেই, মেনে চলুন বিশেষজ্ঞদের এই সব পরামর্শ

Health Tips: অনেকের ধারণা পিসিওএস এবং পিসিওডি-এর মতো অসুখ বাসা বাঁধলে গর্ভধারণে সমস্যা হয়। এই ধারণা অনেকাংশে ঠিক কিন্তু এর থেকে বাঁচার উপায়ও রয়েছে।

Pregnancy and PCOS: PCOS থাকলেও মা হওয়ার পথে কোনও বাধা নেই, মেনে চলুন বিশেষজ্ঞদের এই সব পরামর্শ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 06, 2022 | 12:49 PM

আজ ভারতে ৪ জনের মধ্যে ১ জন মানুষ পিসিওএস-এর সমস্যায় ভুগছেন। বয়ঃসন্ধিকাল পেরোনোর আগেই মেয়েরা শিকার হচ্ছে এই রোগের। পিসিওএস মেয়েদের হরমোনঘটিত একটি রোগ হলেও, এর পিছনে দায়ী অনিয়ন্ত্রিত জীবনধারা, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, মাত্রাতিরিক্ত মানসিক চাপ ইত্যাদি। এর পাশাপাশি শরীরচর্চা না করার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মহিলাদের মেন্সট্রুয়াল স্বাস্থ্য। সাধারণত, অত্যধিক পরিমাণে তলপেটে ব্যথা, অনিয়মিত ঋতুস্রাব, ভারী ঋতুস্রাবকে পিসিওএস-এর উপসর্গ হিসেবে বিবেচিত করা হয়। কিন্তু এই ধরনের লক্ষণগুলোকে কম-বেশি অনেকেই উপেক্ষা করে যান। যার ফলে, সমস্যা দেখা দেয় মা হওয়ার সময়। অনেকের ধারণা পিসিওএস এবং পিসিওডি-এর মতো ওভারি সম্পর্কিত অসুখ বাসা বাঁধলে গর্ভধারণে সমস্যা হয়। এই ধারণা অনেকাংশে ঠিক কিন্তু এর থেকে বাঁচারও উপায় রয়েছে।

পিসিওএস-এর জন্য মেয়েদের দুই ওভারিতেই ছোট ছোট মুসুরদানার আকারে বেশ কিছু সিস্ট হয়। যার জন্যই অনিয়মিত ঋতুস্রাব হতে থাকে। কখনও তা খুব দীর্ঘস্থায়ী হয় কখনও একেবারেই হয় না। মূলত ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী মেয়েদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। সেলেব্রিটি থেকে সাধারণ নারী- অনেকেই এই সমস্যার শিকার। পলিসিস্টিক ওভারির সমস্যা থাকলে ডিম্বাণু নিঃসরণের চক্র অনিয়মিত হয়ে যায় এর ফলে সন্তান ধারণে সমস্যা হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়।

প্রথমত, আপনি যদি পিসিওএস-এর সমস্যা থাকে তাহলে দৈনন্দিন জীবনধারার ওপর বিশেষ নজর দিন। সুষম আহার গ্রহণ করুন। ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখুন। যদি উচ্চতা অনুযায়ী বেশি ওজন থাকে তাহলে সেটা কমান। আর নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। এর মাধ্যমে পিসিওএস-এর সমস্যা থাকলেও আপনি সুস্থ থাকবেন এবং সন্তান ধারণ করতে সুবিধা হবে।

কিন্তু পিসিওএস-এর সঙ্গে আপনি যদি গর্ভধারণে সক্ষম হন, তাহলে নিজের দ্বিগুণ খেয়াল রাখতে হবে। মূলত এই ধরনের রোগীকে হাই রিস্ক প্রেগনেন্সি গ্রুপে হয়, কারণ এই ক্ষেত্রে মিসক্যারেজের ঝুঁকি তুলনামূলক অনেকটা বেশি। প্রথম তিন মাস আপনাকে অত্যন্ত সাবধানতার সঙ্গে চলাফেরা করতে হবে। ছোট ছোট সমস্যার জন্যও চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

সাধারণত, গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ সহ একাধিক রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই আপনার যদি পিসিওএস-এর সমস্যা থাকে তাহলে এই বিষয়ে সতর্ক থাকুন। ডায়েটের দিকে বিশেষ নজর দিক। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না রাখলে প্রিএক্লাম্পশিয়া নামক গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে, যা মা ও ভ্রূণ দু’জনের জন্যই ঝুঁকিপূর্ণ।

পিসিওএস-এর সমস্যাকে গোড়া নির্মূল করা সহজ কাজ নয়। এর জন্য আপনাকে স্বাস্থ্য সম্পর্কে সতর্ক হতে হবে। খাওয়া-দাওয়ার প্রতি যেমন বিশেষ নজর দেবেন, তেমনই নিয়মিত শরীরচর্চাও জরুরি। এর পাশাপাশি মানসিক চাপকে কমিয়ে মনকে ভাল রাখার চেষ্টা করুন। এতে গর্ভধারণেও সমস্যা হবে না এবং গর্ভাবস্থাতেও আপনি সুস্থ জীবনযাপন করতে পারবেন।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।