
বাসে- ট্রেনে যাতায়াত করে গলদঘর্ম হচ্ছেন? তারপরই অফিসে ঢুকে ঠাণ্ডা ঘরে ঢুকে আরামবোধ করলেই কিন্তু সতর্ক থাকুন। কারণ এই ভ্যাপসা গরমে শরীর থেকে ঘাম নির্গত হওয়া কোনও অস্বাভাবিক ব্যাপার নয়। তবে এই ঘাম নিয়ে ঠাণ্ডা এসির মধ্যে প্রবেশ করলে সেই ঘাম শরীরের মধ্যে বসে গিয়ে ঠাণ্ডা লাগার প্রবণতা তৈরি হয়। তারপরই শুরু হয় মাথাব্যথা, নাক দিয়ে জল পড়া, জ্বর জ্বর ভাব হওয়া, হালকা কাশির উপশম দেখা যায়। শুধু কি এসিতে থাকার জন্য হয়, তা একেবারেই নয়, গরম থেকে এসেই ঠাণ্ডা জল খেয়ে নেওয়ার অভ্যেস রয়েছে। যার কারণে সর্দি, কাশি-জ্বরের সম্ভাবনা দেখা যায়। নাক দিয়ে ক্রামগত জল পড়তে দেখা যায়। আর সেই জল রুমাল দিয়ে মুছতে মুছতে গোটাটাই ভিজে যায়। অস্বস্তি আর বিরক্তির সঙ্গে সঙ্গে আপনি ভিজে রুমাল হাতে নিয়ে সংক্রমণও ছড়াচ্ছেন। তবে চিন্তার কিছু নেই, এমন পরিস্থিতিতে পড়লে ঘরেই রয়েছে সহজ প্রতিকার। নাক দিয়ে ক্রমাগত জল পড়া বন্ধ করার জন্য ঘরোয়া টোটকা কী কী হতে পারে, তা দেখে নিন এখানে…
সর্দির জন্য ঘরোয়া প্রতিকার
১. প্রচুর জল পান করুন
সর্দি হলে নাক দিয়ে জল পড়লে প্রথমে প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। আমরা এই সময় জল খাওয়া কমিয়ে দিই। যার ফলে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে নাকের ভিতরের শ্লেষ্মা কমে যায়। তাতে আরও সমস্যা সৃষ্টি হয়। নাকে ময়লা ঢুকে নাক বুজে যাওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। এতে নাক জ্বালাও ধরে। তাই সমস্যা এড়াতে প্রচুর জল খেতে পারেন।
২. স্টিম
স্টিম থেরাপি বেশ পুরনো একটি প্রতিকার। নাক বন্ধ হয়ে গেলে বা গলা ব্যথা করলে স্টিম থেরাপি প্রয়োগ করতে পারেন। একটি বড় পাত্রে জল ফুটিয়ে তাতে মেন্থল, ক্লোরোথাইমল, ক্যাম্ফোর যোগ করে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এতে ইউক্যাল্পেটাস তেলও ব্যবহার করতে পারেন। এরপর তোয়ালে দিয়ে মাথা ঢাকা রেখে মুখ বাষ্পের সামনে রেখে শ্বাস নিতে থাকুন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই আরাম পাবেন।
৩. ভেষজ চা
ঠাণ্ডা লাগলেই আয়ুর্বেদিক কাড়া বা ভেষজ তা পান করতে পারেন। করোনা লকডাউনের সময় এই কাড়া বা ভেষজ চা খুব জনপ্রিয় হয়েছিল। ভেষজ চা পান করলে শরীরে উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রভাব পেতে থাকে। যা ঠাণ্ডার বিরুদ্ধে লড়াই করার সম্ভাবনা বাড়ে। তাতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। এই চায়ে আদা, দারুচিনি, কালো গোলমরিচ, তুলসী পাতা যোগ করে তৈরি করতে পারেন।
4. গরম জল দিয়ে স্নান
ঠাণ্ডা লেগে নাক দিয়ে ক্রমাগত জল গড়ালে স্নান করার সময় গরম জল ব্যবহার করা উচিত। গরম জল দিয়ে স্নান করলে তা স্টিম থেরাপির মতোই প্রভাব ফেলে। তবে খেয়াল রাখা উচিত, বেশি গরম জল ব্যবহার করবেন না, তাতে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।