
ওবেসিটি, স্থূলতা বা মেদ বৃদ্ধি। যাই বলা যাক না কেন, ভারতে এই বিষয়টি যেন বেড়েই চলেছে। তথ্য বলছে, বিয়ের পর এই সমস্যা আরও বাড়ে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের প্রতি চার দম্পতির মধ্যে এক দম্পতিই স্থূলকায়। শুধু স্বামী কিংবা স্ত্রীয়ের ক্ষেত্রেই নয়, মেদ বৃদ্ধি দু-জনেরই হচ্ছে। মনে হতে পারে, বডি শেমিং করা হচ্ছে। কিন্তু রিপোর্ট অবশ্যই চিন্তার কারণ। সুন্দর, সুঠাম শরীর কে না চায়! অনেক সময় স্থূলতার কারণে পছন্দের পোশাক কিংবা অ্যাক্টিভিটির ক্ষেত্রেও সমস্যা তৈরি হয়। লোকে বাঁকা চোখেও দেখেন। Indian Council of Medical Research (ICMR)-এর তথ্য বলছে, দেশে প্রতি চার স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে স্থূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এর ফলে দৈনন্দিন জীবনে নানা সমস্যার মধ্যেও কাটাতে হচ্ছে।
স্থূলতা বা মোটা হওয়া অনেক সময় বংশানুক্রমেও থাকে। কিন্তু বিয়ের পর এমনটা হলে সেটা আর যাই হোক জিনগত কারণ বলা যায় না। ওজন বৃদ্ধির ফলে শরীরের নীচের দিকে অংশে চাপ বেশি পড়ে। এর ফলে হাঁটু, কোমরের সমস্যাও হয়ে থাকে। এর ফলে স্লিপ অ্যামেনিয়া অর্থাৎ ঘুমের সমস্যাও হতে পারে। আত্মবিশ্বাসের অভাব হওয়াটাও অস্বাভাবিক নয়।
দম্পতিদের মধ্যে স্থূলতা বৃদ্ধির কারণ কী?
ICMR-এর তথ্য বলছে, বিয়ের পর ওজন বৃদ্ধি স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর নেপথ্যে অন্যতম কারণ, দৈনন্দিন জীবন যাপনে বড়রকমের পরিবর্তন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই স্বামী-স্ত্রী একে অপরের লাইফস্টাইলের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। নিজেদের দীর্ঘ দিনের অভ্যাসে বদল আসে। বাইরের খাবারের পরিমাণ বেড়ে যায়, অনেক রাতে খাবার খাওয়া, অতিরিক্ত ক্য়ালোরি যুক্ত খাবার স্ন্যাক্স, মিষ্টি খাওয়ার পরিমাণ বেড়ে যাওয়া অন্যতম কারণ। বিয়ের পর শুরুর দিকে লাইফস্টাইলে জুড়ে যায়, বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া, পার্টি করা, গেট-টুগেদার। এর পাশাপাশি কাঁধে বাড়তি যোগ হওয়ায় জীবন থেকে অনেকটা সময়ও কমে যায়। ফলে ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি কমতে থাকে। তথ্য আরও বলছে, আর্থিক ভাবে বেশি স্বচ্ছল দম্পতিদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যাচ্ছে। এর অন্যতম কারণ, তাঁদের জীবন যাত্রায় শারীরীক পরিশ্রম কম, অতিরিক্ত ক্যালোরি যুক্ত খাবার।
কীভাবে এড়িয়ে যেতে পারেন এই সমস্যা?
বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: এই প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র তথ্য জানানো। কোনও রকম সমস্যা কিংবা দ্বিধা থাকলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।