
বর্তমানে সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য সুষম আহার, শরীরচর্চা ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম মেনে চলা আবশ্যিক। পালং শাকে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, জিঙ্কের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও খনিজ।

শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ঘটিয়ে বাইরের যে কোনও ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে শরীরকে সুস্থ রাখতেও দুর্দান্ত কাজ করে এই শাক।

পালং শাকের মধ্যে কিছু উপকারী উপকরণ মিশিয়ে প্রতিদিন তার জুস পান করলে শরীরের ইমিউনিটি বাড়তে পারে, ক্য়ানসার কোষের বিরুদ্ধে লড়াই করে। কিন্তু এই শাকের রসে মিশিয়ে নিন আরও কিছু উপাদান। তবে ফলাফল পাবেন অনেক বেশি।

পালং শাকে সঙ্গে টমেটোর রস মিশিয়ে পান করলে এটি শারীরিক দুর্বলতা , ক্লান্তিবোধ, অলসতা দূর করতে সাহায্য করে। এই উপকারী জুস প্রতিদিন পান করলে ত্বকের বলিরেখা দূর হয়।

মধু ও কালো গোলমরিচ মিশিয়ে নিতে পারেন। পালং শাক খাওয়ার সময় যদি মধুর সঙ্গে অল্প পরিমাণ কালো গোলমরিচ মিশিয়ে জুস পান করেন, তাহলে ঠান্ডা লেগে কাশির প্রবণতা হ্রাস হবে তাড়াতাড়ি।

পালং শাকের সঙ্গে গাজরের রস মিশিয়ে খেলে অ্যামিনিয়া বা রক্তল্পতার সমস্যা দূর হয়। এছাড়া ত্বক সংক্রান্ত সমস্য়া থেকে মুক্তি পেতে, শরীরের ক্ষত দ্রুত সেরে ওঠে।

পালং শাকের জুস তৈরির সময় কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে কিডনিতে পাথর তৈরির প্রবণতা দূর হয়ে যায়। দিনে দুবার করে খেলেই এর উপকারীতা নজরে পড়বে।

পালং শাকের মধ্যে সিলারি মিশিয়ে পান করলে গ্যাসট্রিক সংক্রান্ত সমস্যা দূর হয়ে যায় নিমেষে। পেটে কৃমির সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয়। এই বিশেষ টোটকায় পেটের কৃমি পেটের ভিতরেই মারা যায়।