
যে কোনও নারীর কাছেই দারুণ মুহূর্ত মাতৃত্ব। যেদিন থেকেই তিনি জানতে পারবেন, প্রতিটা মুহূর্তে নতুন অভিজ্ঞতা। সে সময় যত কষ্টই হোক, তাতেও আনন্দ। আর সন্তান পৃথিবীতে আসার পর জীবনটা ভরে যায়। সব কিছু পূর্ণ মনে হয়। প্রেগন্যান্সির সময় মেডিক্যাল কিছু সমস্যাও হয়ে থাকে অনেকের। আবার অনেকের ক্ষেত্রে একটা বিষয় কিছুটা হয়তো সমস্যায় ফেলে বেবি বাম্প। কয়েকটা মাস পছন্দের পোশাক পরা থেকে বিরত থাকেন অনেকে। কর্মজীবি মহিলাদের ক্ষেত্রে সাময়িক বাধা হয়েও দাঁড়ায়। সেটাকে অস্বস্তির বিষয় না মনে করলেও কিছুটা সমস্যা হয়তো হয়। তবে এমন কিছু ঘটনাও রয়েছে যেখানে প্রেগন্যান্সি বোঝাই যায় না। ফলে বেবি বাম্পও ধরা পড়ে না!
এমনই চমকপ্রদ তথ্যের হদিশ দিয়েছেন ডিজিটাল ক্রিয়েটর নিকোল। নিজের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করে নিয়েছেন। প্রেগন্যান্সির সময়টা তাঁর বেবি বাম্প বোঝাই যায়নি। এমনটাই দাবি তাঁর। বিষয়টি কৌতুহল জাগানোর মতোই। আদৌ কি এটা সম্ভব?
বেঙ্গালুরুর অ্যাস্টর উইমেন অ্যান্ড চিলড্রেন হাসপাতালের হেড অব অবস্টেট্রিক্স অ্যান্ড গাইনোকোলজি ডাঃ কবিতা কোভি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে বলেন, ‘হ্যাঁ, এটা সম্ভব। বিশেষ করে প্রেগন্য়ান্সির শুরুর দিকে মহিলার উচ্চতা এবং অ্যাবডমিনাল মাসল স্ট্রং হলে হয়। কিংবা কারও যদি অ্যান্টিরিয়র প্ল্যাসেন্টা থাকে, তাঁর ক্ষেত্রেও সম্ভব। বেবি বাম্প থাকলেও সেটা নজরে পড়বে না।’ মায়ের শারীরিক গঠন, শিশুর অবস্থানের উপরও তা নির্ভর করে বলেন জানান এই চিকিৎসক।
আরও একটি মেডিক্যাল টার্মের কথাও জানান তিনি। ক্রিপটিক প্রেগন্য়ান্সি। শক্তিশালী অ্যাবডমিনাল মাসল, ওবেসিটি, রেট্রোভার্টেড ইউটেরাস অনেক সময় বেবি বাম্প ঢেকে দেয়। অনেক সময় কিছু ক্ষেত্রে প্রেগন্যান্সি বুঝতেও পারা যায় না, এমনকি মাতৃত্বকালীন ব্যথার সময়ও না। এমনটাও জানিয়েছেন চিকিৎসক কবিতা।
এটা কি ঝুঁকির?
ডাঃ কবিতার কথায় বলছেন, যে প্রেগন্যান্সি ধরা পড়ে না, সেটা অবশ্যই ঝুঁকির। মায়ের শরীরে নানারকমের জটিলতা তৈরি হতে পারে বলেও সতর্ক করেন।
ক্রিপটিপ প্রেগন্যান্সি খুবই বিরল। সব সময় সেটা ধরাও কঠিন। ফলে এর ঝুঁকি কমাতে পিরিয়ড নিয়মিত হচ্ছে কি না, তা নজরে রাখা, প্রেগন্যান্সি টেস্ট জরুরি বলেই জানান ডাঃ কবিতা।