Patanjali: একটি গাছই করবে কামাল, প্রদাহের সমস্যা দূর করতে যুগান্তকারী আবিষ্কার পতঞ্জলির!
Patanjali: বারডক নামক একধরনের গাছে পাওয়া আর্কটিজেনিন। যা প্রদাহ কমাতে বেশ উপকারী। যা দেশের অনেক জায়গায় খুব সহযেই পাওয়া যায়। এটি প্রদাহের কারণে সৃষ্ট যে কোনও রোগের ঝুঁকি কমাতে উল্লেখযোগ্য।

প্রদাহ শরীরের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। নানা কারণে শরীরে প্রদাহজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে দীর্ঘ সময় ধরে যদি আপনি এই সমস্যা থেকে মুক্তি না পান তাহলে কিন্তু মুশকিল। বড় কোনও রোগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। হৃদরোগ থেকে শুরু করে আর্থ্রাইটিসের মতো দীর্ঘমেয়াদী রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। অ্যালোপ্যাথিতে প্রদাহ কমাতে বিভিন্ন অ্যান্টাসিড জাতীয় ওষুধ দেওয়া হয়। তবে এর অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও থাকতে পারে।
এর প্রতিকার আছে আয়ুর্বেদে। বারডক নামক একধরনের গাছে পাওয়া আর্কটিজেনিন। যা প্রদাহ কমাতে বেশ উপকারী। যা দেশের অনেক জায়গায় খুব সহযেই পাওয়া যায়। এটি প্রদাহের কারণে সৃষ্ট যে কোনও রোগের ঝুঁকি কমাতে উল্লেখযোগ্য। হরিদ্বারের পতঞ্জলি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পতঞ্জলি ভেষজ গবেষণা বিভাগের গবেষণাতেও উঠে এসেছে এই তথ্য।
এই গবেষণাটি গ্যাভিন পাবলিশার্স জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণার প্রধান গবেষক ছিলেন পতঞ্জলির আচার্য বালকৃষ্ণ। গবেষণায় দেখা গেছে যে আর্কটিজেনিন হল একটি প্রাকৃতিক লিগনিন যৌগ যা অনেক গাছে পাওয়া যায়। বিশেষ করে বারডক (আর্কটিয়াম ল্যাপ্পা) গাছে। এছাড়াও, এটি Saussurea involucrata এর মতো গাছেও পাওয়া যায়। আর্কটিজেনিনে প্রদাহ-বিরোধী, ভাইরাস-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যও রয়েছে যা শরীরে উপস্থিত প্রদাহজনিত র্যাডিকেলগুলিকে নিষ্ক্রীয় করে দিতে পারে।
শরীরের জন্য প্রদাহ কীভাবে বিপজ্জনক?
প্রদাহজনিত সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে থাকলে, এটি আর্থ্রাইটিস, আলঝাইমার, পারকিনসন, হৃদরোগ এবং নিউরো-ডিজেনারেটিভ ডিসঅর্ডার সৃষ্টি করতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে যে আর্কটিজেনিন শরীরে NF-κB কে বাধা দেয়, যার ফলে প্রদাহ হ্রাস পায়। আর্কটিজেনিন প্রো-ইনফ্ল্যামেটরি সাইটোকাইনও কমায়। এটি অক্সিডেটিভ স্ট্রেসও কমায়। এটি অনেক ধরণের এনজাইমও নিয়ন্ত্রণ করে। এটি শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এই হ্রাস জয়েন্টের ব্যথা থেকে মুক্তি দেয় এবং নিউরো-ডিজেনারেটিভ ডিসঅর্ডারের ঝুঁকিও কমায়।
গবেষণা বলছে যে এটি একটি প্রাথমিক ফলাফল। বর্তমানে এই গবেষণাটি ইঁদুরের উপর করা হয়েছে। আর্কটিজেনিনের উপকারিতা সম্পর্কে বৃহৎ পরিসরে ক্লিনিকাল ট্রায়াল পরিচালনা করার প্রয়োজন রয়েছে। আর্কটিজেনিনের ফার্মাকোকাইনেটিক্স নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন। এর সুরক্ষা প্রোফাইল এবং মানুষের উপর এর প্রভাব সম্পর্কে আরও জানা দরকার।





