
‘বিনোদ’ আর ‘বনরাকস’-এর নিশ্চয়ই আলাদা করে পরিচয় দিতে হবে না? পঞ্চায়েত সিরিজের জনপ্রিয় দুই চরিত্র। দুর্দান্ত অভিনয়ে জিতে নিয়েছেন মন। পঞ্চায়েত ওয়েব সিরিজের চতুর্থ সিজন প্রায় সকলেই দেখে ফেলেছেন। একটি সংলাপ নিশ্চয়ই মনে আছে? খৈনি নিয়ে। কিতনে কা আতা হ্যায়, দশ রুপিয়া…। এ ছাড়াও প্রথম সিজন থেকেই নানা দৃশ্যে দেখানো হয়েছে বিনোদ এবং বনরাকসের চরিত্রে অভিনয় করা দু-জনের খৈনি ডলা এবং আলোচনা। অনেকের মধ্যে প্রশ্ন জাগতেই পারে, তা হলে কি খৈনি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য কোনও ক্ষতি করে না? গ্রাম বাংলার একটি চিত্র দেখানোর জন্যই খৈনির ব্যবহার হয়েছে, বলার অপেক্ষা রাখে না। সিগারেট, বিড়ির মতো ধোয়া বেরোয় না। তার জন্য এটি ভালো, একেবারেই নয়। খৈনির ফলেও স্বাস্থ্যের নানা ক্ষতি হয়। যা রীতিমতো চমকে দেবে।
দামে সস্তা, চুন দিয়ে একটু ডলে নিলেই হল। ব্যস আর কী। দাঁত আর ঠোঁটের মাঝে রাখা। এতে আর কীই বা ক্ষতি হতে পারে? এমন ভাবনা যদি এসে থাকে, এখনই সতর্ক হোন। খৈনি ধোয়াহীন তামাকজাত দ্রব্যের মধ্যে পড়ে। আর এর ফলে শরীরে নানা ক্ষতি হয়। বিশেষ করে মুখে। শুধু তাই নয়, এর প্রভাব পড়তে পারে হার্টেও। কী কী ক্ষতি হতে পারে?
চিকিৎসকদের মতে, খৈনির ফলে মুখের নানা সমস্যা যেমন-মুখ, জিভ ও থুতনির ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। শুধু তাই নয়, দাঁতের নানা ক্ষতি হয়ে থাকে খৈনির ফলে। দাঁতের গোড়া নরম হয়ে যাওয়া, ক্ষয়ে যাওয়ার মতো ক্ষতি হয়। পাশাপাশি মুখের দুর্গন্ধও বাড়ে।
এখানেই শেষ নয়, খৈনি খাওয়ার ফলে হৃদস্পন্দন কমতে পারে এবং ব্লাড প্রেসারও হতে পারে। পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে খৈনি খাওয়ার প্রভাব আরও ভয়ঙ্কর যেমন হৃদযন্ত্রের অসুখ এমনকি স্ট্রোক হওয়ারও সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।
যাঁরা এত কিছুর পড়ার পরও মনে করছেন, এগুলো অতি সাধারণ ব্যাপার। চিকিৎসকদের মত কিন্তু আরও ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার সামনে দাঁড় করাতে পারে। চিকিৎসকের মতে, খৈনি খাওয়ার ফলে প্রজনন ক্ষমতায় বাধা হতে পারে। স্পার্ম কাউন্ট কমে যাওয়া, শরীরের চনমনে ভাব উধাও, এমনকি পুরুষাঙ্গেও সমস্যা হতে পারে। খৈনির মধ্যে নিকোটিন থাকে যা একটা সময় নেশার পর্যায়ে চলে যায়। গলা-বুক এবং মুখে জ্বালার মতো সমস্যাও হয়।
বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: এই প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র তথ্য জানানো। কোনও রকম সমস্যা কিংবা দ্বিধা থাকলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।