AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Diabetes Remedy: লাগবে না ওষুধ, রোজ এই পাতা জলে মিশিয়ে খেলেই হু হু করে নামবে আপনার সুগার!

How to control diabetes: সজনে পাতার মধ্যে রয়েছে একাধিক বৈশিষ্ট্য। সজনের পাতা, ডাঁটা, ফল সবই উপকারী। যা ডায়াবেটিসের জন্য খুবই উপকারী...

Diabetes Remedy: লাগবে না ওষুধ, রোজ এই পাতা জলে মিশিয়ে খেলেই হু হু করে নামবে আপনার সুগার!
নিয়ম মানলেই সুগার থাকবে নিয়ন্ত্রণে
| Edited By: | Updated on: Aug 06, 2022 | 10:40 AM
Share

বিশ্বজুড়ে ক্রমশই প্রকট হচ্ছে ডায়াবেটিসের থাবা। রোজ রোজ বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এর কারণ কিন্তু আমাদের রোজকারের জীবনযাত্রা। বিশেষজ্ঞরা এই বিষয়টির উপর একাধিকবার জোর দিয়েছেন, তবুও সুরাহা হয়নি। এমনকী রোজ ডায়াবেটিস নিয়ে সচেতনতা মূলক নানা তথ্যও থাকছে, ভুল অভ্যাস বদলে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হলেও অনেকেই তা এড়িয়ে যাচ্ছেন। দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় বসে কাজ, খিদে পেলেই ফাস্টফুড, কোনও রকম শরীরচর্চা নেই, ঘুম কম, স্ট্রেস বেশি- এই সবই ডায়াবেটিসের অন্যতম কারণ। এছাড়াও ঘরে বসেই সহজে হাতের সামনে পাওয়া যাচ্ছে সব কিছু- যা চাইছে তাই ফলে পরিশ্রম করার মানসিকতা কমেছে। বাচ্চারাও অনলাইন ক্লাস আর অনলাইন গেমে এতটাই আসক্ত হয়ে পড়েছে যে তাদের মধ্যেও আসছে ওবেসিটি। পাঁচ বছর বয়স থেকেই এখন অনেক বাচ্চা ডায়াবেটিসের শিকারও।

ডায়াবেটিস এড়ানোর প্রধান উপায় হল সচেতনতা। অধিকাংশ ক্ষেত্রে অভাব এই সচেতনতারই। ক্লান্ত লাগা, বার বার জল তেষ্টা পাওয়া, দৃষ্টি শক্তি ঝাপসা হয়ে যাওয়া, সামান্যতেই বিরক্ত বোধ, দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষতের নিরাময় না হওয়া, অত্যধিক প্রস্রাব এসবই হল সুগারের প্রাথমিক লক্ষণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া হিসেব অনুযায়ী, ২০-৭০ বছর বয়সীদের মধ্যে সুগারে আক্রান্তের সংখ্যা সবচাইতে বেশি। ডায়াবেটিসে রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে নিয়মিত ভাবে ওষুধ খেতে হয়। কিছুজনের ক্ষেত্রে ইনসুলিনও নিতে হয়। তবে আমাদের হাতের সামনে এমন কিছু আয়ুর্বেদিক উপাদান যা সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

১.ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য খুব ভাল একটি উপাদান হল গিলয়। গিলোয়ের জুস। NCBI-এর একটি সমীক্ষা থেকে দেখা গিয়েছে গিলোয়ের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-হাইপারগ্লাইসেমিক বৈশিষ্ট্য, যা আমাদের রক্ত শর্করাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। এছাড়াও গিলয়ের রসে একাধিক রোগও সারে। তাই রোজ নিয়ম করে খেতে পারেন এই জুস।

২.সজনে পাতার মধ্যে রয়েছে একাধিক বৈশিষ্ট্য। সজনের পাতা, ডাঁটা, ফল সবই উপকারী। যা ডায়াবেটিসের জন্য খুবই উপকারী। রোজ নিয়ম করে সজনে পাতা বেটে জলের সঙ্গে খেতে পারলে কমে সুগারের মাত্রা। এর পাতাতেও রয়েছে অ্যান্টি ডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্য। তবে সরাসরি পাতা খেতে না চাইলে পাতার তৈরি ট্যাবলেট খেতে পারেন। সজনে পাতা শুকনো গুঁড়ো করেও খাওয়া যায়। এছাড়াও ভাতের সঙ্গে গরম সজনে শাকও ভীষণ উপকারী।

৩.নিম পাতার মধ্যে রয়েছে হাইপোগ্লাইসেমিক উপাদান। যা দারুণ ভাবে রক্তশর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাই রোজ নিয়ম করে নিম পাতা খেতে পারেন ভেজে ভাতের সঙ্গে। এছাড়াও কাঁচা হলুদ আর নিম পাতা একসঙ্গে চিবিয়েও খেতে পারেন। যে কারণে নিম সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে। খালি পেটে নিম পাতার রসও ভীষণ কাজে দেয়।

৪.আয়ুর্বেদে অশ্বগন্ধা একাধিক রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। ২০০৯ সালে ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ মলিকুলার সায়েন্সে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ইঁদুরের উপর অশ্বগন্ধার মূল এবং পাতার উপর একটি গবেষণা করা হয়েছিল। কিছু সময় পরে দেখা যায় তাদের মধ্যে বেশ কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে। ডায়াবেটিসেও খুব কার্যকর এই ভেষজ।

৫.অ্যালোভেরা ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য খুবই ভাল। এর মধ্যে থাকে অ্যাসিম্যানান নামক উপাদান, যা হাইপোগ্লাইসেমিক গ্লুকোজ কমাতে কাজ করে। অ্যালোভেরা জুস জলের সঙ্গে মিশিয়ে খান রোজ সকালে। যার ফলে সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় সহজেই।