Excessive Sleep: ২০ ঘণ্টা, এমনকি টানা এক সপ্তাহের ঘুম! এই রোগের কারণে হতে পারে…
Health Care Tips: শুনতে অবাক লাগলেও এমনটা হতে পারে স্নায়ুর রোগের কারণে। যা ক্লেইন লেভিন সিনড্রোম নামে পরিচিত। স্নায়ুর এই রোগের কারণে এমনটা হতে পারে। এই রোগ অবশ্য খুবই বিরল। কিন্তু রয়েছে।

কারও ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত ঘুমটাই সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। ঘুমই হতে চায় না। অনিদ্রায় ভোগেন। একবার ভেবে দেখুন তো, একদিন পর ঘুম থেকে উঠলেন, কিংবা এক সপ্তাহ পর! এমন উদাহরণও কিন্তু রয়েছে, যেখানে কোনও ব্যক্তি টানা ২০ ঘণ্টাও ঘুমোতে পারেন। এমনকি টানা একসপ্তাহ! শুনতে অবাক লাগলেও এমনটা হতে পারে স্নায়ুর রোগের কারণে। যা ক্লেইন লেভিন সিনড্রোম নামে পরিচিত। স্নায়ুর এই রোগের কারণে এমনটা হতে পারে। এই রোগ অবশ্য খুবই বিরল। কিন্তু রয়েছে।
ইনস্টাগ্রামে ডাঃ সেরমেড মেজহের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন। যেখানে তিনি এই রোগের সম্পর্কে জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘যাদের মধ্যে ক্লেইন লেভিন সিনড্রোম (KLS) রয়েছে তারা দিনে ২০ ঘণ্টাও ঘুমোতে পারে। এমনকি টানা এক সপ্তাহও।’ এখানেই শেষ নয়। আরও একটা উদাহরণ চমকে দেওয়ার মতোই। তিনি আরও যোগ করেন, ‘এমন তথ্যও রয়েছে, যেখানে কোনও ব্য়ক্তি টানা ৩২ দিনও ঘুমোতে পারেন।’
এই রোগকে স্লিপিং বিউটি সিনড্রোমও বলা হয়ে থাকে। বিষয়টা স্বপ্নের মতো মনে হতে পারে কারও কারও কাছে। যদিও এর প্রভাব ক্ষতিকর। এই রোগের উপসর্গ কী? হাইপারসোমনিয়া। এর পাশাপাশি সে উপসর্গ দেখা যেতে পারে, মনসংযোগে ব্য়াঘাত, দ্বিধা, সারাক্ষণ একটা ঘোরের মধ্যে থাকা। সেই ব্যক্তির আচরণগত পরিবর্তনও দেখা যায়। প্রচণ্ড মুডসুইং, সব কিছুতেই অস্বস্তি। অতিরিক্ত খিদে কিংবা যৌনকাঙ্খা। বাচ্চাদের মতো ধৈর্যের অভাব, বাস্তব থেকে দূরে সরে থাকার ইচ্ছে।
View this post on Instagram
ঘুমজনিত অন্যান্য় রোগের চেয়ে KLS পুরোপুরি আলাদা। এই রোগ খুবই দুর্লভ। ১০ লক্ষ মানুষের মধ্যে হয়তো ১-৫ জনের মধ্যে এর উপসর্গ দেখা যেতে পারে। কিন্তু এর লক্ষণ বোঝা খুবই কঠিন। মেডিটেশন, মুড ঠিক রাখা, ঘুমে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা, পরিবারের থেকে মানসিক ভাবে সমর্থনের মাধ্যমে এর থেকে দূরে থাকা যেতে পারে। স্লিপ রুটিনে সমস্যা হলে অবশ্যই স্নায়ু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
(সমস্ত তথ্য ইন্টারনেট থেকে বিভিন্ন চিকিৎসকরের মতামত থেকে সংগৃহীত)





