Gastric In Pregnancy: অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ঘন ঘন গ্যাস-অম্বল হচ্ছে? অ্যান্টাসিড না খেয়ে এই টোটকা কাজে লাগান
Pregnancy and Digestion issues: গর্ভাবস্থায় মহিলাদের শরীরে নানা পরিবর্তন দেখা দেয়। এই সময় ঘন ঘন গ্যাস, অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দেয়। বাড়ির তৈরি স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পরও পেটে গ্যাস হয়। যদিও এই সমস্যা খুব চেয়ে বেশি ভোগায় তাও নয়। কিন্তু ঘন ঘন গ্যাস-অম্বলে ভোগা কারও ভাল লাগে না।
গর্ভাবস্থায় মহিলাদের শরীরে নানা পরিবর্তন দেখা দেয়। এই সময় ঘন ঘন গ্যাস, অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দেয়। বাড়ির তৈরি স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পরও পেটে গ্যাস হয়। যদিও এই সমস্যা খুব চেয়ে বেশি ভোগায় তাও নয়। কিন্তু ঘন ঘন গ্যাস-অম্বলে ভোগা কারও ভাল লাগে না। কিন্তু অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কেন অ্যাসিডিটি হয়? এই সমস্যা থেকে বাঁচতে অ্যান্টাসিড ছাড়া আর কোন উপায়ের সাহায্য নেবেন? রইল টিপস।
গর্ভাবস্থায় মহিলাদের ঘন ঘন গ্যাস-অম্বল কেন হয়?
১) গর্ভাবস্থায় গ্যাস, পেট ফাঁপার অন্যতম কারণ হল প্রোজেস্টেরন হরমোন। এই হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায় এবং পেশিগুলো শিথিল হয়ে যায়। অন্ত্রের পেশিগুলোও শিথিল হয়ে যায় এবং হজম প্রক্রিয়ার গতি কমে যায়। এই কারণে গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয়।
২) গর্ভাবস্থায় মহিলার দেহে শর্করার মাত্রা বেশি থাকে। অনেক মহিলাই অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় জেস্টেশনাল ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভোগেন। এই ক্ষেত্রে অনেক সময় স্ফীতভাব অনুভব করতে পারেন।
৩) গর্ভাবস্থায় একাধিক শারীরিক পরিবর্তন ঘটে। যত বেশি ডেলিভারির সময় এগিয়ে আসে জরায়ু থেকে চাপ প্রয়োগ হতে থাকে। তখন হজম পদ্ধতি ধীর হয়ে যায় এবং পেটে গ্যাস হয়ে যায়।
৪) গর্ভাবস্থায় ওজন বেড়ে যায় এবং ঘন ঘন খিদে পায়। আগের খাবার হজম হওয়ার আগেই খাবার খেলে বদহজমের সমস্যা দেখা দেয়।
৫) অনেক সময় ভুল খাবার খাওয়ার জন্যও গ্যাস-অম্বলের সমস্যা দেখা দেয়। দুগ্ধজাত খাবার, ফুলকপি, বাঁধাকপির মত সবজি, দানাশস্য, ভাজাভুজি খেলে বদহজম হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় গ্যাস-অম্বলের সমস্যা এড়াবেন যে উপায়ে-
১) গর্ভাবস্থায় প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। দিনে ১০ গ্লাস জল পান করুন। এই সময় দেহে তরলের ভারসাম্য বজায় রাখা ভীষণ জরুরি।
২) প্রেগন্যান্সি কোনও অসুখ নয়। তাই একদম বেড রেস্ট নেওয়ার কোনও কারণ নেই। হাঁটাচলা করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে হালকা ব্যায়াম করুন।
৩) গর্ভাবস্থায় অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন। তাই ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া দরকার। কিন্তু অত্যধিক পরিমাণে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাবেন না। এতে হিতে বিপরীতও হতে পারে।
৪) অন্তঃসত্ত্বায় মানসিক চাপ মুক্ত থাকুন। শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন।