
শরীরে কিডনি ঠিক মতো কাজ না করলে, কী কী সমস্যা দেখা দেয় তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা থাকে না। শরীরে কিডনির অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে। কিডনিকে সুস্থ রাখতে স্বাস্থ্যকর খাদ্য এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ জলের প্রয়োজন।

অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, অনিয়মিত খাওয়াদাওয়া, ভাজাভুজি খাওয়ার প্রবণতা শরীরের প্রতি অবহেলার প্রভাব পড়ে কিডনির উপরে। আপনার যদি কোনওভাবে কিডনিতে কোনও সমস্যা হয়, তবে তা শরীরের অন্যান্য অংশেও প্রভাব ফেলে।

কিডনি সংক্রমণ, কিডনি ক্যান্সার, কিডনি ফেইলিয়র ছাড়াও কিডনিতে পাথরের মতো সমস্যায় মানুষ আজকাল বেশি ভুগছেন। সাধারণত কিডনির সমস্যা হচ্ছে কি না, তা বুঝতে শরীরের চাহিদা অনুযায়ী জল খান।

এছাড়াও রয়েছে অনেক উপসর্গ। কোমর বা তলপেটে কোনও ব্যথা হচ্ছে কি না দেখুন। মূত্রত্যাগের সময়ে জ্বালা হচ্ছে কি না, তা খেয়াল করুন। এছাড়া প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত। ঘন লাল বা কালচে মেরুন রঙের রক্ত এলে সাবধান হতে হবে।

প্রস্রাবের বেগ আসলে তা ধরে রাখার সমস্যা। প্রস্রাবের সময় ব্যথা অনুভূত হলে সাবধান হতে হবে। এমনকি মুত্রের পরিমাণ কম এবং বারে বারে প্রস্রাবের প্রবণতা থাকলেও হতে পারে কিডনির সমস্যা।

প্রস্রাবে দুর্গন্ধ। এই সব সমস্যা হলে অবিলম্বে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। পাশাপাশি হালকা জ্বর, বমির সমস্যা থাকলেও তা কিডনিতে পাথর হওয়ার উপসর্গ হতে পারে।

কিডনিতে পাথর হলে পিঠের দিক এবং পাঁজরের দু’পাশে তীব্র ব্যথা হতে পারে। যদি মনে হয় ব্যথা অল্প হচ্ছে, তাতেও অবহেলা করবেন না। প্রথম থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

ব্যথা বেশি দিন ফেলে রাখলে শরীরের অন্দরে জটিলতা বাড়তে পারে। বেশ কিছু দিন ধরে এই ব্যথা হতে থাকে, তা হলে সাধারণ সমস্যা বলে এড়িয়ে যাবেন না। সব ক্ষেত্রেই দ্রুত চিকিৎসা শুরু হওয়া দরকার।