Coronavirus: কোভিড মুক্ত হলেও বাড়ছে উদ্বেগ, বিষন্নতা! এমনটাই বলছে সমীক্ষা
Post COVID Psychiatric Effects: কোভিড সংক্রমণে যতটা না প্রভাব পড়েছে শ্বাসযন্ত্রে তার থেকে অনেক বেশি প্রভাব পড়েছে মস্তিষ্কে। বিশেষত ভারতীয়দের ক্ষেত্রে। যে কারণে তাদের মধ্যে বাড়ছে উদ্বেগ

কোভিড এবং মানসিক স্বাস্থ্যের মধ্যে যে একটা যোগসূত্র রয়েছে তা এর আগে একাধিক পরীক্ষায় প্রমাণিত। কোভিড থেকে সেরে ওঠার পর বাড়ছে মানসিক চাপ, উদ্বেগ, বিষন্নতা। সম্প্রতি একটি গবেষণায় উঠে এসেছে কোভিড থেকে সেরে ওঠার প্রায় চার মাস পর থেকে দেখা দিচ্ছে এই সব সমস্যা। গবেষণাটি কোভিড আক্রান্ত ৪৬,৬১০ এর উপর চালানো হয়েছিল। এঁদের প্রত্যেকেরই শ্বাসযন্ত্রের যেমন বিভিন্ন সমস্যা ছিল তেমনই প্রভাব ছিল মানসিক স্বাস্থ্যে। কোভিড থেকে সেরে ওঠার ২১ দিন থেকে ১২০ দিন পর্যন্ত তাঁরা কেমন ছিলেন সেই তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল। আর তাতেই দেখা গিয়েছে ক্রমশ তাঁদের শরীরে বেড়েছে মানসিক অস্থিরতা।
হঠাৎ রাগ, মেজাজ হারানো, অস্থির হয়ে যাওয়া- এসব সমস্যা কোভিড হওয়ার আগে তাঁদের মধ্যে ছিটেফোঁটাও ছিল না। গবেষণায় আরও উঠে এসেছে আমাদের দেশে কোভিড আক্রান্ত হওয়ার পর শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ এবং অন্যান্য সংক্রমণের তুলনায় অনেক বেশি ছিল অন্যান্য সংক্রমণের তুলনায় প্রায় ৩.৮ শতাংশ বেশি।
পর্যবেক্ষণে আরও উঠে এসেছে মানসিক সমস্যা যে ভাবে বাড়ছে সেখান থেকে আত্মহত্যার প্রবণতাও এসেছে অনেকের মধ্যে। কোভিড-১৯ মস্তিষ্কের উপর কতখানি প্রভাব ফেলছে তা বুঝতে এখনও পর্যন্ত গবেষণা চলছে। তবে অনুমান, যাঁদের ভাইরাল লোড কম ছিল এবং শরীরে জটিলতা অন্যদের থেকে বেশি ছিল তাঁদেরই মস্তিষ্কে প্রদাহ সৃষ্টি করেছে এই ভাইরাস। যেখান থেকে বেড়েছে বিভিন্ন মানসিক সমস্যা। এছাড়াও কোভিডের সময়ে অনেককেই হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করাতে হয়েছিল। শরীরে কমে গিয়েছিল অক্সিজেনের মাত্রা। অদৃশ্য এই ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে এবং চোখের সামনে অনেক প্রিয়জনদের মৃত্যুদেখে তাঁরা ফিরে এসেছিলেন তারপর থেকেই মনের মধ্যে তাঁদের চাপ বেড়েছে। এছাড়াও কোভিডে বিপন্ন অর্থনৈতিক পরিস্থিতিও। প্রচুর মানুষ কাজ খুইয়েছেন। মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে কিন্তু রোজগার আগের থেকে কমে গিয়েছে। এই পরিস্থিতি আরও বেশি মানসিক চাপ বাড়িয়ে দিচ্ছে।
আর তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, কোভিড থেকে সেরে ওঠার পর যদি কোনও ব্যক্তির মধ্যে মানসিক পরিবর্তন আসে, বিষন্নতা-উদ্বেগ বাড়ে তাহলে বিষয়টি হালকা ভাবে নেবেন না। তাঁদের সঙ্গে মন খুলে কথা বলুন। সমস্যার কথা জানতে চান। চিকিৎসকের কাছেও অবশ্যই নিয়ে যান। কেন তিনি বিষন্ন, কেনই বা ক্ষণে ক্ষণে মেজাজ পরিবর্তন হচ্ছে তার কাকম খোঁজার চেষ্টা করুন। বিরক্ত হয়ে এড়িয়ে যাবেন না। কোনও কিছু পাওয়ার জন্য তাঁরা যে এমন আচরণ করছেন তা নয়, কোথায় অসুবিধে হচ্ছে তা বন্ধু বা কাছের মানুষ হিসেবে বোঝাটা আপনার কর্তব্য।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
