বর্ষাকালে কীসের রুটি স্বাস্থ্যের জন্য সেরা? যা বলছেন পুষ্টিবিদরা…

Monsoon Health Tips: বর্ষার আবহাওয়ায় আর্দ্রতার কারণে পেটের নানা সমস্য়া দেখা দেয়। ফলে সতর্ক হওয়াটাও জরুরি। আজ আলোচনা করা যাক রুটি নিয়েই। বর্ষার মরসুমে কীসের রুটি স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী, নজর দেওয়া যাক সেদিকেই।

বর্ষাকালে কীসের রুটি স্বাস্থ্যের জন্য সেরা? যা বলছেন পুষ্টিবিদরা...
Image Credit source: RBB/Moment/Getty Images

Jul 18, 2025 | 1:02 AM

বর্ষার মরসুমে শরীরের নানা যত্নই প্রয়োজন। বেশি করে নজর দেওয়া উচিত খাবারে। প্রত্যেকের খাদ্যাভ্যাস আলাদা। অনেকেই রুটি খেতে পছন্দ করেন। সেটা ব্রেকফাস্টেই হোক বা ডিনারে। কিন্তু রুটির ক্ষেত্রেও সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। এর কারণও রয়েছে। পুষ্টিবিদ সেটাও জানিয়েছেন। কেউ বা আটার রুটি পছন্দ করেন, কেউ বা ময়দার। সারা বছর আর বর্ষার সময় বিষয়টা একটু আলাদা। বর্ষার আবহাওয়ায় আর্দ্রতার কারণে পেটের নানা সমস্য়া দেখা দেয়। ফলে সতর্ক হওয়াটাও জরুরি। আজ আলোচনা করা যাক রুটি নিয়েই। বর্ষার মরসুমে কীসের রুটি স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী, নজর দেওয়া যাক সেদিকেই।

বর্ষার সময় এমন উপাদানের রুটি খাওয়া উচিত যা সহজপাচ্য। পুষ্টিবিদদের মতে, বর্ষার মরসুমে জোয়ার এবং বেসনের রুটি খাওয়া উপকারী। কারণ এটি সহজপাচ্য়। ফলে পেটের সমস্যার সম্ভাবনাও কম। ভারী শস্য যেমন রাগি, বাজরা, ভুট্টার রুটি এড়িয়ে যাওয়াই শ্রেয়। কারণ, এই উপাদানে তৈরি রুটি হজম হতে চায় না। যার ফলে পেট ভার হয়ে থাকে, গ্যাসও হতে পারে। এর বদলে গম, জোয়ার এবং বেসনের রুটি খাওয়া শ্রেয়। অন্তত এই সময়টাতে। গমের রুটি হালকা এবং সহজপাচ্য। পুষ্টিগুণের দিক থেকে জোয়ারের রুটি খুবই ভালো। এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার এবং খনিজ থাকে। বেসনের রুটিতে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীরে স্ফূর্তি আনে।

আর কী বলেন পুষ্টিবিদরা? অনেকেই রুটি বানানোর সময় নির্দিষ্ট উপাদানের সহঙ্গে ওটসের গুঁড়ো, ছাতু, ময়দা কিংবা আটা মিশিয়ে করেন। তাতে যে রুটির স্বাদই শুধু বাড়ে তা নয়, আরও স্বাস্থ্যকরও করে তোলে। তবে পুষ্টিবিদদের আরও গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ, রুটি বানিয়ে খুব বেশিক্ষণ রেখে না খাওয়াই শ্রেয়। বরং গরম গরম রুটির সঙ্গে যদি দেশি ঘি মিলিয়ে খাওয়া যায়, তা খুবই উপকারী হয়ে ওঠে।

বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: এই প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র তথ্য জানানো। কোনও রকম সমস্যা কিংবা দ্বিধা থাকলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।