প্রাচীন কাল থেকেই রিউম্যাটিক অবস্থার কথা জানা যায়। আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রেও এই রোগের কথা উল্লেখ পাওয়া যায়। আর্থ্রাইটিস (Arthritis) বর্তমানে অত্যন্ত পরিচিত একটি অসুখ। জীবনযাত্রার সঙ্গে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গিয়েছে এই রোগ। সমাজের আর্থ-সামাজিক বোঝা হিসেবে এই রোগ ক্রমবর্ধমান হচ্ছে। আর্থ্রাইটিসের আক্ষরিক অর্থ হল এটি এমন একটি অসুখ, যেখানে শরীরের সব জয়েন্টগুলোতেই যন্ত্রণাদায়ক অনুভূতি লক্ষ করা যায়। তবে এই রোগ নিয়েও রয়েছে কিছু কুসংস্কার। রোগ সম্পর্কে অসচেতনতা ও অজ্ঞতার উপর নির্ভর করে মানুষ নানারকম ধারণায় বশবর্তী হয়ে পড়ে। আর সেই ধারণাগুলি কাটিয়ে সচেতনতা বিস্তার করতেই সারা বিশ্ব জুড়ে পালিত হয় বিশ্ব আর্থ্রাইটিস দিবস (World Arthritis Day)।
শুধুমাত্র বয়স্কদেরই বাত হয়!
-আর্থ্রাইটিস যেকোন বয়সের রোগীদের প্রভাবিত করতে পারে। ছোট বাচ্চা, প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি বয়স্করা আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত হতে পারে।
পরিবারের সদস্যের আর্থ্রাইটিস আছে, সেই অনুসারে পরবর্তী প্রজন্মও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে?
– বিশেষ করে অ্যানকাইলোসিং স্পন্ডিলাইটিস, সোরিয়াটিক আর্থ্রাইটিস, লুপাস পরিবারের একাধিক সদস্যকে প্রভাবিত করে। একশো শতাংশ হিসেবে বলা যায় না ঠিকই, কিন্তু আগাম পূর্বাভাসও দেওয়া সম্ভব নয়।
টক জাতীয় খাবার বাতের লক্ষণগুলিকে খারাপ করে
– এটি একটি খুব সাধারণ ভুল ধারণা। এমন কোন প্রমাণ নেই যে টক জাতীয় খাবার আর্থ্রাইটিসের অবনতি ঘটায় এবং এই খাবারগুলি এড়ানোর দরকার নেই। শুধুমাত্র গাউটের রোগীদের কিছু খাবার যেমন রেড মিট, শেলফিশ, অ্যালকোহল এবং অন্যান্য পিউরিনযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল।
আর্থ্রাইটিস হলে হাত-পা বিকৃত হয়ে যাবে
সঠিক সময়ে চিকিত্সা না করালে হাত-পা বিকৃত হয়ে যেতে পারে। তবে প্রাথমিক চিকিত্সার মাধ্যমে এই রোগকে প্রতিরোধ করাও সম্ভব।
বাতের কোন চিকিৎসা নেই
চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে অনেক নতুন ওষুধ আবিষ্কার হয়েছে। বাতের চিকিৎসার ক্ষেত্রে এই ওষুধগুলির মধ্যে রয়েছে কিছু গেম-চেঞ্জার। বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে এবং পর্যবেক্ষণের অধীনে সঠিকভাবে ব্যবহার করা হলে, বেশিরভাগ রোগী সুস্থ হয়ে ওঠে। দীর্ঘমেয়াদী ব্যথানাশক এবং স্টেরয়েড ব্যবহারের সঙ্গে সঠিক সময়ে সঠিক ওষুধ চালু হলে এড়ানো যায় ঠিকই।
আরও পড়ুন: Pomegranate: খাটো করলেও বেদানাতে রয়েছে হাজারো গুণ! এর উপকারিতা জানলে অবাক হবেন আপনিও…