
অনেকেই সুস্থ-স্বাভাবিক জীবন যাপন করেন। দৈনন্দিন জীবনে কোনওরকম নেশা করেন না। শৃঙ্খল জীবনে অভ্যস্ত। এক্সারসাইজও করেন। কিন্তু অনেক সময়ই চাইলেও সবকিছু নিজের নিয়ন্ত্রণে থাকে না। তবে চেষ্টা ছাড়লে চলবে না। নিজে যেমন সচেতন হতে হবে, তেমনই চেনা-পরিচিত বাকিদের মধ্যেও এই সচেতনতার বার্তা দিতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রতিবছর ৪ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে ক্যানসার দিবস হিসেবে পালন করে। এই দিনটির লক্ষ্য, সকলের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো, ক্য়ানসার রোগী এবং তাঁর পরিবারের পাশে থাকা। একজন দায়িত্ববান নাগরিক হিসেবে, শুধু একটা দিনই নয়, প্রতিনিয়ত এই রোগ নিয়ে সচেতন থাকতে হবে এবং রাখতেও হবে।
ক্যানসার আটকানো সম্ভব কি না, সেটা অবশ্যই ভাবনার বিষয়। তবে চেষ্টা করে যেতে হবে। কী ভাবে আটকানোর চেষ্টা করা যেতে পারে? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-এর তথ্য অনুযায়ী, কিছু বিষয় মেনে চললে ক্য়ানসারের ঝুঁকি ৩০-৫০ শতাংশ কমানো যায়। কী সেগুলো?
তামাকজাত দ্রব্য থেকে দূরে থাকুন। তামাক ক্যানসারের অন্য়তম কারণ। ধূমপানের কারণে এই রোগ বাসা বাঁধতে পারে।
খাওয়া-দাওয়ার বিষয়ে সচেতন হোন-দৈনন্দিন খাবারে অবশ্যই সবজি, ফল, দানাশস্য, লিন প্রোটিন জাতীয় খাবার রাখুন। চেষ্টা করুন প্রোসেসড ফুড, রেড মিট, নরম পানীয় কমাতে। যে সমস্ত স্বাস্থ্যকর খাবারে ওজন মেইনটেন করা যায়, নিয়মিত শরীরচর্চাও করুন।
নিয়মিত হেলথ্ চেকআপ-শুরুতেই ধরা পড়া যে কোনও রোগকেই অনেকাংশে আটকানো সম্ভব। নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষা করান। তাতে ক্যানসার ধরা পড়লে শুরুতেই এর চিকিৎসা সম্ভব।
টিকা নিন-ক্যানসার প্রতিরোধে HPV ভ্যাকসিন নিতে পারেন। বিভিন্ন ক্যানসার আটকাতে এই প্রতিষেধক নিতে পারেন। পাশাপাশি হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিনও লিভার ক্যানসার আটকাতে সাহায্য করে। অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে সিদ্ধান্ত নিন।