বছরের প্রত্যেকটি দিনই এখন কোনও না কোনও বিশেষ দিন হিসেবে সেলিব্রেট করা হয়। সেই দিনের বিশেষত্ব অনুযায়ী বহু আলোচনা হয়। বহু অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কখনও কখনও সচেতনতা প্রচারের উদ্যোগও দেখা যায় বিভিন্ন মহলে। ১১ মার্চ তেমনই একটি বিশেষ দিন। আজ ওয়ার্ড কিডনি ডে (health care)।
শরীর একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল কিডনি। সুস্থ থাকতে গেলে কিডনি ভাল রাখা যে কতটা জরুরি, তা বোধহয় সকলেই জানেন। কিডনির কী কাজ, তা পড়েছেন ছোটবেলার পাঠ্য বইতে। দৈনন্দিনে কিডনি সংক্রান্ত একটি রোগের কথা প্রায়শই শোনেন আপনারা। তা হল কিডনি স্টোন। অর্থাৎ কিডনির অভ্যন্তরে পাথর হওয়ার সমস্যা।
এক এক রোগীর ক্ষেত্রে রোগের ধরন এক এক রকম। অর্থাৎ কারও ক্ষেত্রে ওষুধের মাধ্যমেই কিডনির পাথর গলিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়। কারও ক্ষেত্রে আবার রোগের গুরুত্ব বিচার করে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক। যে কোনও রোগই যত দ্রুত ধরা পড়বে, তত দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব। রোগীর আরোগ্য লাভের সম্ভবনাও একে কিঞ্চিৎ বৃদ্ধি পায়। তাই কোন কোন উপসর্গের কারণ হয়তো বা কিডনির পাথর হতে পারে, তা একবার জেনে নিন।
আরও পড়ুন, কোন দেশে আইনত তামাক সেবনের বয়স কত?
চিকিৎসকদের একটা বড় অংশের মতে, কয়েকটি উপসর্গ রোগী নিজেই হয়তো বুঝতে পারবেন। কী কী সেই উপসর্গ?
১) তলপেট, কোমর, পিঠের নীচের অংশে ব্যথা।
২) প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত। ঘন লাল বা কালচে মেরুন রঙের রক্ত এলে সাবধান হতে হবে।
৩) প্রস্রাবের বেগ আসলে তা ধরে রাখার সমস্যা।
৪) প্রস্রাবের সময় ব্যথা অনুভূত হলে সাবধান হতে হবে।
৫) প্রস্রাব হলেও তার পরিমাণ কম এবং বারে বারে প্রস্রাবের প্রবণতা।
৬) প্রস্রাবে দুর্গন্ধ। এই সব সমস্যা হলে অবিলম্বে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। পাশাপাশি হালকা জ্বর, বমির সমস্যা থাকলেও তা কিডনিতে পাথর হওয়ার উপসর্গ হতে পারে।
সব ক্ষেত্রেই দ্রুত চিকিৎসা শুরু হওয়া দরকার।
আরও পড়ুন, লিচু খেলে কী কী শারীরিক উপকার পাবেন?