Yoga to Ease Period Cramps: মাসিকের সময় পেটের অসহ্য যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে এই যোগ ব্যায়ামগুলো অভ্যেস করুন…
বেশ কিছু যোগ ব্যায়াম হয় যা আপনার পেশীর নমনীয়তা বজায় রাখে। পেশীর নমনীয়তা যত বেশি হয়, পিরিয়ডের সময় পেটের বা শারীরিক যন্ত্রণাও ততটাই কম হয়।
পিরিয়ড বিভিন্ন নারীকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে। কেউ কেউ পিরিয়ডের দিন ক্র্যাম্পের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে যোগ ব্যায়ামের ক্লাসে যান, কেউ বা আবার বাড়িতে বসে নেটফ্লিক্স দেখে থাকেন। সত্যি বলতে, পিরিয়ডের দিন আপনার যেটা সুবিধে মনে হয় সেটাই করা উচিত। তবে, মাসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার ব্যবস্থা আপনি অন্যান্য দিনে করতে পারেন।
মাসিক যন্ত্রণার আসল কারণ হল পেশীর সংকোচন। যোগ ব্যায়াম পেশীর এই সংকোচন আর প্রসারণ বজায় রাখতে সাহায্য করে। সেই কারণেই যোগব্যায়াম ক্র্যাম্প, মাথাব্যাথা, উদ্বেগ, পিঠের ব্যথা এবং পিরিয়ড-সম্পর্কিত অন্যান্য উপসর্গগুলির ক্ষেত্রে বিশেষ সাহায্য করতে পারে।
বাউন্ড অ্যাঙ্গেল পোজ – বদ্ধ কোনাসন:
পিরিয়ডের সময় ডায়েরিয়া এবং কোষ্ঠকাঠিন্য খুব স্বাভাবিক লক্ষণ। প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন নিঃসরণের জন্য আপনার জরায়ু সংকুচিত হয়। এক্ষেত্রে এইবাউন্ড অ্যাঙ্গেল পোজ আপনাকে বিশেষ সাহায্য করতে পারে। এটি কেবল আপনার পাচনতন্ত্রকে স্বাভাবিক করে না, আপনাকে মাসিকের ব্যথা থেকেও মুক্তি দেয়। এটি আপনার ডিম্বাশয়কেও সতেজ করে তোলে। যার ফলে আপনার প্রজনন স্বাস্থ্য সুরক্ষিত থাকে। যদি আপনি ক্লান্ত বোধ করেন, কিছু সময়ের জন্য এই আসন করতে পারেন। এটি আপনাকে বেশ কিছুটা শক্তি দিতে সাহায্য করবে।
রিক্লাইন্ড বাইউন্ড অ্যাঙ্গেল- সুপ্ত বদ্ধ কোনাসন:
পিরিয়ডের কারণে তৈরি হওয়া উদ্বেগ আপনার বিরক্তির পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে। সেক্ষেত্রে এই ব্যায়াম বিশেষভাবে দরকারি। রিক্লাইন্ড বাউন্ড অ্যাঙ্গেলের পোজ আগের ব্যায়ামের মতোই। তবে এক্ষেত্রে আপনি সামনের না ঝুঁকে পেছনে ঝুঁকবেন। এই ভঙ্গি আপনার ক্লান্তি, অনিদ্রা, উদ্বেগ, মাথাব্যাথা এই ধরনের নানান পোস্ট-পিরিয়ড লক্ষণ সরাতে সাহায্য করে। যেহেতু এই ভঙ্গিতে আপনাকে ঝুঁকতে হয়, আপনার পেটের পেশীগুলি এক্ষেত্রে শিথিল হয়, যা ক্র্যাম্পিং আটকাতে সাহায্য করে।
চাইল্ড’স পোজ- বালাসন:
যোগ ব্যায়ামের কিছু কিছু ভঙ্গি হয় যেখানে আপনার অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলিরও স্বাস্থ্য ভাল থাকে। চাইল্ড’স পোজ এরকমই এক ধরনের যোগ ব্যায়াম। আপনার প্রজননে সাহাজ্যকারি অঙ্গগুলিকে নমনীয় করার পাশাপাশি আপনার পিঠ, কাঁধ এবং ঘাড়ের টান মুক্ত করে এই ব্যায়াম। মাসিকের সময় আপনার গর্ভাশয়ের পেশী এবং জয়েন্টগুলোতে ব্যথা অনুভব করলে, এই সহজ ভঙ্গিটি আপনাকে সাহায্য করতে পারে।
এছাড়াও বেশ কিছু যোগ ব্যায়াম হয় যা আপনার পেশীর নমনীয়তা বজায় রাখে। পেশীর নমনীয়তা যত বেশি হয়, পিরিয়ডের সময় পেটের বা শারীরিক যন্ত্রণাও ততটাই কম হয়।
আরও পড়ুন: Miscarriage: পাকা পেঁপে খেলে গর্ভপাতের সম্ভাবনা বেড়ে যায়! এই ধারণা কী আদৌও ঠিক?