Note: জানেন ভারতে ১০,০০০ টাকার নোটও ছাপা হয়েছিল দু’বার, কী হল তারপর…

Note: সেই সময়, এই নোটটি সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য চালু হয়নি। ব্যবসায়ী, বড় শিল্পপতি এবং সরকারি লেনদেনের জন্য ব্যবহৃত হত ওই নোট। সেই সময় একজন সাধারণ মানুষের সারা মাসে ৫০০ টাকার বেশি লাগত না।

Note: জানেন ভারতে ১০,০০০ টাকার নোটও ছাপা হয়েছিল দুবার, কী হল তারপর...

May 23, 2025 | 7:55 PM

১ টাকা থেকে শুরু করে ২০০০ টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন নোট সবাই দেখেছেন। ১০, ২০ এবং ১০০ টাকার নোট তো এখন খুবই সাধারণ। ২০১৬ সালে নোট বাতিলের পর সরকার ৫০০ ও ১,০০০ টাকার নোট প্রত্যাহার করে ২০০০ টাকার নোট চালু করে। নতুন ৫০০ টাকার নোটও বাজারে আসে। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে ভারতে একসময় ১০,০০০ টাকার নোটও ছাপানো হয়েছিল।

ভারত তখন ব্রিটিশ শাসনের অধীনে ছিল। ১৯৩৮ সালে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক প্রথম ১০,০০০ টাকার নোট চালু করেছিল। সেই সময়, এই নোটটি সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য চালু হয়নি। ব্যবসায়ী, বড় শিল্পপতি এবং সরকারি লেনদেনের জন্য ব্যবহৃত হত ওই নোট। সেই সময় একজন সাধারণ মানুষের সারা মাসে ৫০০ টাকার বেশি লাগত না।

সেই নোটে ছিল ব্রিটিশ নকশা। ছিল রাজা ষষ্ঠ জর্জের ছবি। ছিল অন্যান্য ব্রিটিশ প্রতীকও। ১৯৪৬ সালে ব্রিটিশ সরকার এটি বন্ধ করে দেয়। ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হয়।

স্বাধীনতার পর, আবার এই ১০,০০০ টাকার নোট আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৫৪ সালে একেবারে ভারতীয় প্রতীক সহ ছাপানো হয় নতুন নোট। তাতে ছিল অশোক স্তম্ভের ছবি। ছিল ভারতীয় কৃষিকাজের ছবিও। ব্যাঙ্ক বা কোনও বড় প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণ অর্থের লেনদেন করা যাতে সহজ হয়, সেইজন্য়ই এই নোট ছাপানো হয়েছিল। তখন ডিজিটাল লেনদেনের সময় ছিল না। যখন লক্ষ লক্ষ টাকার পেমেন্ট করতে হত, তখন ১০,০০০ টাকার নোটের লেনদেনে বিশেষ সুবিধা হত।

এদিকে এই নোটের মূল্য বেশি হওয়ায় অপব্যবহারের ঝুঁকিও ছিল বেশি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৭০-এর দশকে যখন কালো টাকার রমরমা হয়, সেই সময় সরকার বুঝতে পারে যে এই বড় নোটগুলি ভুল হাতে চলে যাচ্ছে। ১৯৭৮ সালে মোরারজি দেশাইয়ের নেতৃত্বাধীন জনতা পার্টির সরকার একইসঙ্গে ১০০০, ৫০০০ এবং ১০,০০০ টাকার নোট বাতিল করে দেয়।

তবে জানা যায়, ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত মাত্র কয়েকটি ১০,০০০ টাকার নোটই প্রচলিত ছিল। বর্তমানে সে সব নোট সংগ্রাহকদের কাছে থাকে। কারও কাছে ১০,০০০ টাকার নোট থাকলে তা নিলামে লক্ষ লক্ষ টাকায় বিক্রি হতে পারে।