
ভোপাল: চারিদিকে এখন বিয়ের মরসুম। এই সময় কি কাজে যাওয়া যায়? ভালমন্দ খাওয়া, একটু গায়ে হাওয়া লাগানো, এই তো মন চায়। একজন সাধারণ চাকুরিজীবী বা ব্যবসায়ীর ক্ষেত্রে হয়তো এই ‘গায়ে হাওয়া লাগানো’ বিষয়টি বিলাসিতার সমান। কারণ কাজে না গেলে পেট চলবে না। উপার্জন ছাড়া গোটা জীবনটাই অন্ধকার। তাই সাধারণের কাছে ছুটি নেওয়াটা একটা বিস্তর পরিকল্পনার অংশ। কিন্তু সেটা শুধুই সাধারণের কাছে। ভিআইপিদের কাছে নয়। অন্তত মধ্য প্রদেশের পরিস্থিতি দেখে এমন বলছেন একাংশ।
মধ্য প্রদেশ বিধানসভায় শুরু হয়েছিল শীতকালীন অধিবেশন। কিন্তু বিয়ে খাওয়ার বাহানা দিয়ে, তাতে শেষ দিনে উপস্থিত থাকলেন না ১৪ জন বিধায়ক। শেষদিন দূরহস্ত, মাত্র পাঁচ দিনের অধিবেশনে প্রায় প্রতিদিনই দেখা গিয়েছে বিধায়কদের অনুপস্থিতির হিড়িক। জানা গিয়েছে, বিয়ের মরসুমের জেরে তাঁদের বিস্তর ব্যস্ততা। তাই ফাঁকি দিলেন বিধানসভার অধিবেশন।
উল্লেখ্য, গত পয়লা ডিসেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলেছে মধ্য প্রদেশ বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন। শেষ দিন অর্থাৎ ৫ ডিসেম্বর ছিল বিধায়কদের করা প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পালা। বাহারি উত্তরপত্র সাজিয়ে বসেছিল ট্রেজারি বেঞ্চ। কিন্তু যাঁরা উত্তর চেয়েছিলেন, তাঁরাই নেই। পরে জানা গেল, বিয়ে নিয়ে ব্য়স্ত ছিলেন বিধায়করা।
অবশ্য, এই ১৪ জনের মধ্যে যে শুধুই শাসকদল বিজেপি রয়েছে এমনটা নয়। এ যেন একেবারে ‘মাসবাঙ্ক’। যাতে যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেস বিধায়ক-সহ ভারত আদিবাসী পার্টির একমাত্র বিধায়কও। এদিন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, ‘পরের বার থেকে আমরা যখন শীতকালীন অধিবেশনের দিনক্ষণ ঠিক করব, সেই সময় বিয়ের মরসুমের কথাটাও মাথায় রাখব। বহু বিধায়কের বিয়েবাড়িতে গিয়েছেন। আমরা চেষ্টা করব যেন অধিবেশন এবং বিয়ের তারিখ একই দিনে না হয়।’