নয়া দিল্লি: আগামিকাল সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ বয়কট (boycott) করার সিদ্ধান্ত নিল বিরোধী দলগুলি। বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিন দুই কক্ষের উপস্থিতিতে সরকারের সাফল্য, আগামিদিনের পরিকল্পনা নিয়ে ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি। চলতি বছরেও রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (Ramnath Kovind)-র ভাষণ দেওয়ার কথা। তার আগেই বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিরোধী দলগুলি জানাল, তারা রাষ্ট্রপতির বক্তব্য বয়কট করতে চলেছেন। যদিও মায়াবতীর দল বহুজন সমাজ পার্টি (Bahujan Samaj Party) এই বয়কটে অংশ নেবে না বলেই জানানো হয়েছে।
চলতি বছরে বাজেট অধিবেশন দুই দফায় অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম দফা শুরু হচ্ছে আগামিকাল অর্থাৎ ২৯ জানুয়ারি থেকে, চলবে ১৫ ফেব্রুয়ারি অবধি। দ্বিতীয় দফার অধিবেশন আগামী ৮ মার্চ থেকে ৮ এপ্রিল অবধি অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি বছরের মতোই এই বছরও ১ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশ করা হবে।
আজ কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ (Gulam Nabi Azad) ঘোষণা করেন, মোট ১৬টি বিরোধী দল বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিন, যুগ্ম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণ বয়কট করবেন। তিনি বলেন, “১৬টি দলের তরফে আমরা একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানাচ্ছি যে আগামিকাল রাষ্ট্রপতির ভাষণ বয়কট করতে চলেছি। এর অন্যতম কারণ হল বিরোধীদের মতামত ছাড়াই জোর করে সংসদে বিল (কৃষি বিল) পাশ করা হচ্ছে।”
16 opposition parties to boycott President’s Address to Parliament Friday. @IndianExpress pic.twitter.com/LCEqAqKu44
— Manoj C G (@manojcg4u) January 28, 2021
আরও পড়ুন: নাবালিকার হাত ধরা, প্যান্ট খুলে যৌনাঙ্গ প্রদর্শন পকসো আইনে যৌন নিগ্রহ নয়: বম্বে হাইকোর্ট
১৬টি দলের মধ্যে রয়েছে এনসিপি (NCP), শিব সেনা (Shiv Sena), ডিএমকে (DMK), তৃণমূল কংগ্রেস(TMC), সমাজবাদী পার্টি (Samajwadi Party), আরজেডি (RJD), সিপিআই(এম), আরএসপি(RSP), এমডিএমকে, কেরল কংগ্রেস প্রমুখ। একমাত্র মায়াবতীর দল বহুজন সমাজ পার্টির তরফে জানানো হয়েছে, তাঁরা এই বয়কটের অংশ হবেন না।
গত বছরও বিরোধী দলগুলি অধিবেশনের প্রথম দিন রাষ্ট্রপতির ভাষণ বয়কট করেন। সেদিন তাঁরা নিজেরাই আম্বেদকরের মূর্তির সামনে সংবিধানের কিছু অংশ পাঠ করে নাগরিকত্ব আইনের বিরোধীদের প্রতি সমর্থন জানান। তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, ” চলতি বছরে কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনকারী কৃষকদের সমর্থনে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি একটি যৌথ বিবৃতি পেশ করবেন”।
তবে চলতি বছরে করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রাখতে কোনও প্রতিবাদ কর্মসূচি রাখা হবে না বলেই জানানো হয়েছে। রাষ্ট্রপতির প্রতি সম্মান প্রদর্শনে তাঁর ভাষণ চলাকালীন চিৎকার করে স্লোগান দেওয়া বা কোনও পোস্টার দেখানো হবে না।
অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গ ও তামিলনাড়ুতে নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাওয়ায় তৃণমূল কংগ্রেস ও ডিএমকে-র একাধিক সাংসদরা অধিবেশনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না বলেই সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: রাম মন্দির নির্মাণ ট্রাস্ট-কে এক কোটি টাকার চেক যোগীর