পুলিশি তৎপরতায় বানচাল নাশকতার ছক, উপত্যকায় ধৃত দুই লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি
শুক্রবার গোয়েন্দা মারফত বড়সড় নাশকতার খবর পায় পুলিশ (Police)। পাপাচান-বন্দিপোরা সেতুর কাছে চেক পয়েন্টে একটি সন্দেহজনক গাড়ির দেখা মেলে। তল্লাশি চালিয়ে গাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় গ্রেনেড (Grenade) সহ নানা বিস্ফোরক।
শ্রীনগর: খবর মিলেছিল আগেই, সেই সূত্র ধরেই জম্মু-কাশ্মীরের পাপাচান-বন্দিপোরা সেতুর কাছে চেকপয়েন্টে অপেক্ষা করছিলেন নিরাপত্তাবাহিনী। গাড়িতে তল্লাশি চালাতেই ধরা পড়ল দুই লস্কর-ই-তৈবা (Lashkar-e-Taiba) জঙ্গি, সঙ্গে উদ্ধার হল একাধিক বিস্ফোরকও। পুলিশি তৎপরতায় এড়ানো গেল বড়সড় নাশকতার পরিকল্পনা।
শুক্রবার গোয়েন্দা মারফত বড়সড় নাশকতার খবর পায় জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। সেই খবর পেয়েই জম্মু-কাশ্মীরের বন্দিপোরা (Bandipora) জেলার পাপাচান-বন্দিপোরা সেতুর কাছে চেক পয়েন্ট বসায় নিরাপত্তাবাহিনী। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতেই একটি সন্দেহজনক গাড়ির দেখা মেলে। তল্লাশি চালিয়ে গাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় গ্রেনেড (Grenade) সহ নানা বিস্ফোরক। এরপরই গাড়িতে উপস্থিত দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন: দেশকে আত্মনির্ভর বানাতে সরকারের উচিত বেসরকারি ক্ষেত্রকে সাহায্য করা: প্রধানমন্ত্রী
প্রাথমিক জেরায় জানা গিয়েছে, ধৃত দুই ব্যক্তির নাম আবিদ ওয়াজ়া ও বসির আহমেদ গোজের। তাঁরা দুজনই উত্তর কাশ্মীরের বন্দিপোরারই বাসিন্দা। জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাঁরা। এক পুলিশ আধিকারিক জানান, রের্কড অনুযায়ী তাঁরা বন্দিপোরা এলাকায় জঙ্গিদের আশ্রয় দিতে ও তথ্যসহ অন্যান্য সাহায্য করতেন। উপরমহলের নির্দেশেই তাঁরা বন্দিপোরায় সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা বাহিনীর উপর গ্রেনেড হামলা চালাতে যাচ্ছিলেন।
পুলিশি তথ্য অনুযায়ী, ঘটনাস্থান থেকে দুটি হ্যান্ড গ্রেনেড সহ একাধিক বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তদন্তের জন্য সেগুলি পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে বলে জানান ওই পুলিশ আধিকারিক।
আরও পড়ুন: প্যাংগং থেকে সেনা সরলেও চিন্তা কাটেনি দেসপাংয়ে, দশম দফার বৈঠকে ভারত-চিন