দেশকে আত্মনির্ভর বানাতে সরকারের উচিত বেসরকারি ক্ষেত্রকে সাহায্য করা: প্রধানমন্ত্রী

"মেক ইন ইন্ডিয়া" (Make in India), "ভোকাল ফর লোকাল" (Vocal For Local)-র মতো নানা উদ্যোগের পর এবার বেসরকারি ক্ষেত্রের দিকেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে চান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(Narendra Modi)।

দেশকে আত্মনির্ভর বানাতে সরকারের উচিত বেসরকারি ক্ষেত্রকে সাহায্য করা: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
Follow Us:
| Updated on: Feb 20, 2021 | 4:19 PM

নয়া দিল্লি: বিগত কয়েক বছর ধরেই দেশকে আত্মনির্ভর বানানোর লক্ষ্যে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। সেই লক্ষ্যেই “মেক ইন ইন্ডিয়া” (Make in India), “ভোকাল ফর লোকাল” (Vocal For Local)-র মতো নানা উদ্যোগের সূচনা করেছেন তিনি। এবার বেসরকারি ক্ষেত্রকেও সাহায্যের আশ্বাস দিলেন প্রধানমন্ত্রী।

শনিবার নীতি আয়োগের ষষ্ঠ দফার বৈঠকে (NITI Aayog Meeting) প্রধানমন্ত্রী জানান, করোনা সংক্রমণের কারণে দেশের অর্থনীতি যে বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছিল, তা কাটিয়ে উঠতে সরকারের প্রয়োজন একটি শক্তিশালী পরিকল্পনা। এই কাজে তিনি রাজ্যগুলির সহযোগিতাও চান। একইসঙ্গে বলেন, “বেসরকারি ক্ষেত্রগুলির বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ দেওয়া উচিত এবং সরকারের উচিত, এই কাজে সমর্থন করা।”

এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, “দেশকে আত্মনির্ভর বানাতে বেসরকারি সংস্থাগুলিকে সরকারের সাহায্য করা উচিত। করোনাকালেও আমরা দেখেছি যে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলি কীভাবে একসঙ্গে কাজ করেছিল। এই সহযোগিতার কারণেই দেশ করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ী হয়েছে এবং বিশ্বের কাছে একটি ভাল ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে।”

আরও পড়ুন: প্যাংগং থেকে সেনা সরলেও চিন্তা কাটেনি দেসপাংয়ে, দশম দফার বৈঠকে ভারত-চিন

দেশের উন্নয়নে কেন্দ্র-রাজ্যের সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতে তিনি বলেন, “ভারতের উন্নয়নের ভিত দাঁড়িয়ে রয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্যের একসঙ্গে কাজ করার উপরই। আমাদের উচিত একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে একযোগে এগিয়ে যাওয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে আরও অর্থবহ করে তোলা। কেবল এটিই নয়, আমাদের উচিত দেশের উন্নয়নে কেন্দ্র ও রাজ্যের সহযোগিতার পাশাপাশি সরকারকে প্রতিযোগিতা ও সহযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা তুলে ধরা। এটি কেবল রাজ্যস্তরেই নয়, জেলাস্তরেও পৌঁছে দেওয়ার প্রচেষ্টা চালাতে হবে।”

কৃষি আইন নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্কের আবহেই প্রধানমন্ত্রী জানান, কৃষিক্ষেত্রেও বহু সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, “করোনাকালেও আমরা দেশের কৃষিক্ষেত্রে রপ্তানিতে ব্যাপক বৃদ্ধি দেখেছি। আমাদের পণ্য সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণে জোর দেওয়া উচিত, যাতে যথাসম্ভব কম পণ্য অপচয় হয়।”

“কৃষিনির্ভর দেশ হিসাবে পরিচিত আমাদের দেশে এখনও বিদেশ থেকে ভোজ্যতেল আমদানি করা হয়, প্রতিবছর প্রায় ৬৫ থেকে ৭০ হাজার কোটি টাকার ভোজ্যতেল বাইরে থেকে আমদানি করা হয়। আমাাদের উচিত এই আমদানি বন্ধ করে দেশেই তৈল্যশস্য উৎপাদন করা। এরফলে ভবিষ্যতে এই টাকা কৃষকদের অ্যাকাউন্টে যাবে। এরজন্য আমাদেরই কোনও একটি পরিকল্পনা করতে হবে।” বিগত বছরগুলিতে উন্নয়নের খতিয়ান দিয়ে তিনি বলেন, “কয়েক বছরে বহু ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে, টিকাকরণ ও স্বাস্থ্য পরিষেবায় উন্নয়ন আনা হয়েছে। বিনামূল্যে বিদ্যুৎ ও গ্যাস পরিষেবা দিয়ে গরিবদের ক্ষমতায়নের প্রচেষ্টা ও জীবনধারায় আমূল পরিবর্তন করা হয়েছে।”

আরও পড়ুন: আফ্রিকার সিংহ, কোমোডো ড্রাগন! বিশ্বের বৃহত্তম চিড়িয়াখানা বানাচ্ছেন অম্বানী