আফ্রিকার সিংহ, কোমোডো ড্রাগন! বিশ্বের বৃহত্তম চিড়িয়াখানা বানাচ্ছেন অম্বানী
জামনগরে সেই চিড়িয়াখানা (World's largest zoo) তৈরি করছেন এশিয়ার অন্যতম ধনী মুকেশ অম্বানী (Mukesh Ambani)
নয়া দিল্লি: বিশ্বের সর্বোচ্চ ‘স্ট্যাচু অব ইউনিটি’র ঠিকানা গুজরাট। এ বার বিশ্বের সবচেয়ে বড় চিড়িয়াখানারও ঠিকানা হতে চলেছে মোদী-শাহের রাজ্য। জামনগরে সেই চিড়িয়াখানা তৈরি করছেন এশিয়ার অন্যতম সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি মুকেশ অম্বানী। ধনকুবেরের সেই চিড়িয়াখানার সঙ্গে থাকবে একটি উদ্ধারকেন্দ্রও, সেটি দিয়ে রাজ্য সরকারকে সাহায্য করা হবে। এমনটাই জানিয়েছেন রিল্যায়ান্সের কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স ডিরেক্টর পরিমল নথবানি।
তবে সমগ্র চিড়িয়াখানা তৈরিতে মোট খরচ কত হবে, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি রিলায়্যান্স। ২০২৩ সালের মধ্যে তৈরি হয়ে যাবে চিড়িয়াখানাটি, তারপরই দর্শকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে বিশ্বের এই বৃহত্তম চিড়িয়াখানা। টেক, ই-কমার্স ছাড়াও ক্রিকেট, ফুটবলে বিনিয়োগ করেছে অম্বানীর সংস্থা।
কেমন হবে অম্বানীর চিড়িয়াখানা?
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, অম্বানীর এই চিড়িয়াখানার নাম হবে ‘গ্রিনস জুলজিকাল রেসকিউ অ্যান্ড রিহেবিলেশন কিংডোম।’ ২৫০ একরেরও বেশি অঞ্চল জুড়ে গড়ে উঠবে এই চিড়িয়াখানা। বিশ্বের বৃহত্তম এই চিড়িয়াখানায় থাকবে ফ্রগ হাউস, ড্রাগন’স আইল্যান্ড, ল্যান্ড অব রোডেন্ট, অ্যাকোয়াটিক কিংডোম-সহ একাধিক বিভাগ। সেই বিভাগগুলিতে থাকবে আফ্রিকার সিংহ, কোমোডো ড্রাগন, চিতা, জাগুয়ার, নেকড়ে, হিপ্পো, ওরাংওটাং, বেঙ্গল টাইগার-সহ দেশ বিদেশের একাধিক প্রাণী।
এর আগেও কোটিপতিদের পশুপ্রেমের একাধিক দৃষ্টান্ত রয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার লো টাক কোং নামে এক ধনী উদ্যোগপতি প্রায় ৪০ লক্ষ ডলার খরচ করে একটি চিড়িয়াখানা তৈরি করেছিলেন। জর্জিয়ার অন্যতম ধনী ব্যক্তি তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বিদজিনা ইভানিশভিলি প্রায় ৩০ লক্ষ ডলার বিনিয়োগ করেছিলেন ডেনড্রোলজিকাল পার্কের জন্য। এরকম নজির আরও অনেক রয়েছে। অম্বানীর মতো ক্রিকেট বা ফুটবলে বিনিয়োগ করেছেন এমন ব্যক্তিত্বেরও অভাব নেই। রাশিয়ার অন্যতম ধনী ব্যক্তি রোমান আব্রামোভিচ লন্ডনেক চেলসি ফুটবল ক্লাবের মালিকানা কিনেছিলেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে কোটিপতিদের বিনিয়োগ সম্পর্কে গবেষক রেবেকা গুচ বলেন, “তাঁদের অর্থনৈতিক ক্ষমতা রয়েছে কল্পনাকে বাস্তবায়িত করার। তাই তারা এসব পারেন।”
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাজেটের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই রাজ্য বাজেট হওয়া উচিত: প্রধানমন্ত্রী