Bhangar Chaos: এবার ভাঙড়! রাস্তার উপরই আগুন লাগিয়ে দেওয়া হল পুলিশের বাইকে, পরপর ভাঙচুর গাড়ি
Bhangar: ভাঙড়ের শোনপুরের ঘটনা। জানা যাচ্ছে, নয়া ওয়াকফ আইন নিয়ে প্রতিবাদ দেখাচ্ছিলেন আইএসএফ কর্মীরা। তখনই উত্তেজনা ছড়ায়। বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি আসার আগেই কেউ বা কারা পুলিশের গাড়ি ভাঙুচর ও তাতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ।

ভাঙড়: এবার ভাঙড়। ফের আক্রান্ত পুলিশ। ভাঙচুর করা হল একাধিক পুলিশের গাড়ি। কার্যত আক্রমণ করা হয়েছে পুলিশ আধিকারিকদের। ভাঙড়ের শোনপুরের ঘটনা। জানা যাচ্ছে, নয়া ওয়াকফ আইন নিয়ে প্রতিবাদ দেখাচ্ছিলেন প্রতিবাদীরা। তখনই উত্তেজনা ছড়ায়। কেউ বা কারা পুলিশের গাড়ি ভাঙুচর ও তাতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ। এর আগে মুর্শিদাবাদের সুতি, জঙ্গিপুর, ধুলিয়ানে এইভাবে পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ছবি দেখেছিল বাংলা। এবার সেই একই চিত্র দেখা গেল ভাঙড়ে। এই ঘটনায় জখম পাঁচজন পুলিশকর্মী। ঘটনাস্থলে জয়েন্ট সিপি।
আজ সকাল থেকে তপ্ত ছিল ভাঙড়। এ দিন, বাসন্তী হাইওয়ের কাছে শোনপুর বাজারে একটি নয়া ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে একটি বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল। সেই নিয়ে দফায়-দফায় উত্তেজনা আগেই ছিল। সেই প্রতিবাদের ঝাঁঝ বাড়ে বিকেলে। এই ঘটনায় পুলিশ কর্মীদের আহত হওয়ার অভিযোগ উঠে আসছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেমেছে RAF।
জানা যাচ্ছে, প্রতিবাদীরা এ দিনের পুলিশের গাড়িতে আগুন জ্বালানোর পাশাপাশি, একাধিক বাইকে আগুন ধরিয়ে দেন। রাস্তার উপরে দাউ-দাউ করে জ্বলতে থাকে বাইকটি। শুধু তাই নয়, ভাঙচুর করা হয় পুলিশ ভ্যান। ইট বৃষ্টি চলতে থাকে পুলিশের উদ্দেশ্যে। তবে শুধু ভাঙড় নয়, ওয়াকফের প্রতিবাদে উত্তেজনা ছড়িয়েছে মৌলালির রামলিলা ময়দানে। এই ঘটনার দায় তৃণমূল চাপিয়েছে আইএসএফ-এর উপর। যদিও সমস্ত অভিযোগ উড়িয়েছেন বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি।
ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা বলেন, “আমরা বারেবারে বলেছি আইএসএফ মানে সমাজ বিরোধী। আইএসএফ-এর নেতা মদতে যেভাবে পুলিশের গাড়িতে যেভাবে ভাঙচুর করা হয়েছে, তাতে সংখ্যালঘু হিসাবে আমার মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে।” নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, “পুলিশ যদি বলে এরা আইএসএফ-এর লোক তাহলে নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। পুলিশ যখন লাঠিপেটা করেছে সেই সময় তৃণমূলের লোকজন ঢুকে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। আমি বলছি ভিডিয়ো ফুটেজ দেখুন কারা কারা হিংসার সঙ্গে যুক্ত তাদের গ্রেফতার করুন। আইএসএফ সেজে কেউ এই কাজ করছে।”





