Suvendu Adhikari: নির্বাচন কমিশনকে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে ভোট করানোর দাবি তুললেন শুভেন্দু
Suvendu Adhikari: বাংলার একাধিকবার এমন পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুলেছেন বিরোধীরা, কিন্তু নির্বাচন কমিশনের দ্বারা রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে নির্বাচনের দাবি অভিনব বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এ দিন শুভেন্দু অধিকারী স্পষ্ট করে বলেন, পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসার জন্য রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুলছেন না তাঁরা।

কলকাতা: বছর ঘুরলে বাংলায় ‘হাইভোল্টেজ’ বিধানসভা নির্বাচন। রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করলেন, বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে নির্বাচন করা হোক। বাংলার একাধিকবার এমন পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুলেছেন বিরোধীরা, কিন্তু নির্বাচন কমিশনের দ্বারা রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে নির্বাচনের দাবি অভিনব বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এ দিন শুভেন্দু অধিকারী স্পষ্ট করে বলেন, পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসার জন্য রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুলছেন না তাঁরা। গণতন্ত্রকে সুষ্ঠভাবে প্রতিষ্ঠা করতে এবং ভোটারের নিরাপত্তা রক্ষার জন্যই রাষ্ট্রপতি শাসন দরকার বলে দাবি করেন শুভেন্দু।
গত তিন চার দিনে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি। ভেঙেছে একাধিক বাড়ি, পুড়েছে বহু দোকান। বেপরোয়া লুঠপাটের অভিযোগ উঠেছে। মুর্শিদাবাদের সুতি, সামসেরগঞ্জ, ধূলিয়ান, জঙ্গিপুর মারাত্মকভাবে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ওয়াকফ প্রতিবাদে কলকাতা সংলগ্ন ভাঙড় সোমবার থেকে তপ্ত। সোমবার বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গার নাম উল্লেখ করেন। শুভেন্দুর দাবি, রাষ্ট্রপতি শাসনে আগামী বিধানসভা নির্বাচন না হলে, সেখানে হিন্দুরা ভোটই দিতে যেতে পারবেন না।
কী বললেন শুভেন্দু?
বিরোধী দলনেতার কথায়, ” রাষ্ট্রপতি শাসনে যদি ইলেকশন কমিশন অফ ইন্ডিয়া ভোট না করে তাহলে ক্যানিং, গোসাবা,বাসন্তী, মিনাখাঁ, হাড়োয়া, জলঙ্গী, রানিনগর, সুতি, সামসেরগঞ্জ, কালিয়াচক থেকে দিনহাটা, কলকাতার মেটিয়াবরুজ বন্দর, ফলতা, মগরাহাট- এমন পঞ্চাশের বেশি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে, যেখানে শতাংশের বিচারে হিন্দুরা ৫০-এর কম, সেখানে হিন্দুদের ভোট দিতে দেওয়া হবে না।” এবং সংখ্যালঘুরা কাকে ভোট দেবেন, সেটাও স্পষ্ট করে দেন তিনি। তাই অবাধ ও সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি রাষ্ট্রপতি শাসনে নির্বাচনের কথা বলেন শুভেন্দু।
তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশনের উচিত, কয়েক মাস বাদে যে ভোট রয়েছে, তাতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে প্যালামিটারি, মিলিটারি করে বাংলার প্রত্যেকটা ভোটার যাতে জাতি ধর্মের উর্ধ্বে উঠে ভোট দিতে পারেন, তা সুনিশ্চিত করা। ভোটের পরে তিন মাস নিরাপত্তা দেওয়ার কাজ ইসিআই-কে নিতে হবে। আইন শৃঙ্খলার অবনতি যাতে না হয়, তাই আমরা রাষ্ট্রপতি শাসনে নির্বাচনের দাবি করছি।”





